Advertisement
Advertisement

Breaking News

কন্যাশ্রী প্রকল্প

কন্যাশ্রী ক্লাবের মাধ্যমে তৈরি হবে স্যানিটারি ন্যাপকিন, নয়া ভাবনা প্রশাসনের

বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে তৈরি স্যানিটারি ন্যাপকিন বাজারজাত করা শুরু হয়েছে।

Some member of Kannyashree club may makes sanitary napkin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:December 26, 2019 9:14 pm
  • Updated:December 26, 2019 9:27 pm

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের মহিলাদের তৈরি স্যানিটারি ন্যাপকিন বাজারজাত করা শুরু হয়েছে। এবার একইভাবে কন্যাশ্রী ক্লাবের মাধ্যমে স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন।মুম্বইয়ের একটি সংস্থার সহায়তায় কন্যাশ্রী ক্লাবও এবার তৈরি করবে স্যানিটারি ন্যাপকিন। যা সংশ্লিষ্ট স্কুলেরই ছাত্রীদের প্রয়োজন মেটাবে। পাশাপাশি, অন্য স্কুলেও তা সরবরাহ করা হবে। 

জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, “প্রশিক্ষণ দিয়ে ও যন্ত্রপাতি দিয়ে স্কুলের কন্যাশ্রী ক্লাবগুলিতে স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরি করা হবে। মুম্বইয়ের একটি সংস্থা বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ন্যাপকিন তৈরির প্রকল্পে যেভাবে সহায়তা করেছিল তারাই কন্যাশ্রী ক্লাবগুলিকে সহায়তা করবে।” রাজ্য সরকারের তরফে স্কুলছাত্রীদের কন্যাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে সহায়তা দিয়ে থাকে। প্রতিটি স্কুলের কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধাপ্রাপ্ত ছাত্রীদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে কন্যাশ্রী ক্লাব। বিভিন্ন সামাজিক সচেতনতার প্রচারেও কাজ করে এই কন্যাশ্রী ক্লাবগুলি। এবার তাদের মাধ্যমে স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে জেলা প্রশাসন। 

Advertisement

প্রাথমিকভাবে জেলার কিছু স্কুলের কন্যাশ্রী ক্লাবকে বাছাই করা হচ্ছে। সেই সব স্কুলের ক্লাবকে স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরির পরিকাঠামো গড়ে দেওয়া হবে।  বাজারে যেসব স্যানিটারি ন্যাপকিন বিক্রি হয় তার দাম তুলনায় অনেকটাই বেশি। বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বছর দুয়েক আগে মহিলা আবাসিকদের নিয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরির প্রকল্প চালু করা হয়। যা বাজারের স্যানিটারির ন্যাপকিনের তুলনায় গুণগত মানেও ভাল, আবার দামও তুলনায় কম।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ফাঁপরে ‘ফেলুদা ফেরত’, জাতীয় উদ্যানের কাছে ড্রোন উড়িয়ে শুটিং করায় বিপাকে সৃজিত]

প্রতি বছর কন্যাশ্রী ক্লাবগুলির কাজের নিরিখে পুরস্কৃত করে জেলা প্রশাসন। সেই কর্মসূচিতে সংশোধনাগারের মহিলা আবাসিকদের তৈরি স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণও করা হয় ছাত্রীদের। এবার কন্যাশ্রী ক্লাবের মাধ্যমেই তা তৈরি করার ভাবনা। জেলাশাসক জানান, প্রথম পর্যায়ের মেমারির কয়েকটি স্কুলকে বাছাই করা হয়েছে। সাফল্য মিললে সব স্কুলেই তা চালু করা যেতে পারে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ