বাবুল হক, মালদহ: বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election 2021) আগে দলবদল নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক লেগেছে। যার ফলে অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির। তবে বিরোধীদের ঘরের অশান্তি গেরুয়া শিবিরকে যেন বাড়তি অক্সিজেন জোগাচ্ছে। কিন্তু মালদহে ঠিক উলটো ছবি। যোগদান কর্মসূচির জেরে অস্বস্তিতে পড়ল বিজেপি। যা নিয়ে তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ নেতৃত্ব।
ঠিক কী হয়েছিল? একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে মালদহ (Maldah) জেলা সফরে গিয়েছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী কথা ছিল সন্ধেয় মঙ্গলবাড়ির পালপাড়ার ধানহাটি চায়ে পে চর্চায় যোগ দেবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেখানেই বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর নৃপেন পালের দলবদল করারও কথা ছিল। কিন্তু পূর্ব পরিকল্পনার সঙ্গে বাস্তব মিলল কই? কারণ, নৃপেন পালের যোগদানের কথা জানার পরই স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তাঁরা বিরোধিতা করতে শুরু করেন। গেরুয়া শিবিরের একাংশের দাবি, বহু গরিব মানুষকে ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রচুর কাটমানি নিয়েছেন নৃপেন পাল। তাই তাঁর মতো ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ নেতাকে কোনমতেই বিজেপিতে নেওয়া যাবে না বলেই দাবি জানাতে থাকেন তাঁরা।
কৈলাস বিজয়বর্গীয় ঘিরে ধরে এই দাবি জানাতে থাকেন বিজেপি (BJP) কর্মী-সমর্থকরা। তাণ্ডবের জেরে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়ে যায় গেরুয়া শিবির। তড়িঘড়ি বিজেপির জেলা নেতা শ্যামচাঁদ ঘোষ পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামেন। মাইক্রোফোন তিনি বলতে থাকেন আপাতত যোগদান পর্ব স্থগিত। আর তারপরই চায়ে পে চর্চা ছেড়ে চলে যান বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর নৃপেন পাল। ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayavargiya)। আদতে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরাই শনিবার সন্ধেয় যোগদানের বিরোধিতা করেছিলেন নাকি পরিকল্পনামাফিক এসব করানো হয়েছে, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ বিজেপি নেতৃত্ব।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.