রাজা দাস, বালুরঘাট: উলটো স্রোত দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে৷ তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রকে দলে নেওয়ার প্রতিবাদে, ক্ষুব্ধ বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী যোগ দিলেন সিপিএমে। তাঁদের অভিযোগ, একসময় বিপ্লব মিত্রের নেতৃত্বে ওই এলাকায় তৃণমূল কর্মীদের ব্যাপক অত্যাচার চলত৷ সেই অত্যাচার থেকে বাঁচতেই তাঁরা কর্মীরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন পরিস্থিতি পালটেছে৷ তাই বিজেপির সঙ্গ ছেড়েছেন তাঁরা৷ গঙ্গারামপুর ব্লকের সুকদেবপুর এলাকার এই ঘটনা স্বভাবতই অক্সিজেন জুগিয়েছে বামেদের।
জানা গেছে, গত লোকসভা নির্বাচনে চলা সন্ত্রাস থেকে নিজেদের বাঁচাতে সুকদেবপুর এলাকার বাম কর্মী-সমর্থকরা দলে দলে যোগ দেন বিজেপিতে। কর্মীর অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল স্থানীয় সিপিএম কার্যালয়টি। ইতিমধ্যে তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র যোগদান করেছেন বিজেপিতে। দিল্লিতে দলবদলের পর শনিবার তিনি ফিরেছেন গঙ্গারামপুরে, নিজের এলাকায়। বিপ্লব মিত্রকে নিয়ে এলাকায় উচ্ছ্বাসের অন্ত নেই তাঁর অনুগামী ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে।
কিন্তু এর মাঝেই উলটপুরাণ গঙ্গারামপুরের সুকদেবপুর এলাকায়। বিপ্লব মিত্রর বিজেপিতে যোগ দেওয়াটা মেনে নিতে পারেননি সুকদেবপুরবাসীর একাংশ৷ একসময় সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া এই মানুষজনই রবিবার ফের সিপিএমে যোগদান করলেন। এই মানুষজনই সুকদবপুরের তালাবন্ধ থাকা সিপিএম পার্টি অফিসটি খুলে দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর সিপিএম জেলা সম্পাদক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী নারায়ণ বিশ্বাস, বাম নেতা মানবেশ চৌধুরি, অচিন্ত্য চক্রবর্তী-সহ গঙ্গারামপুর এরিয়া কমিটির সদস্যরা। উদ্বোধনের পর এলাকায় মিছিল করেন তাঁরা।
সিপিএম জেলা সম্পাদক নারায়ণ বিশ্বাস জানান, যাদের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সুকদেবপুরের মানুষজন বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, সেই সন্ত্রাসীরাই বিজেপিতে যোগ দিল৷ বিপ্লব মিত্র ও তাঁর ভাইদের বিরুদ্ধেই এলাকার মানুষের প্রতিবাদ ছিল। বিপ্লব মিত্র বিজেপি যেতেন, লাল ঝান্ডা ফের হাতে তুলে নিয়েছেন সুকদেবপুরের এই মানুষ। আর এতেই যেন সিপিএমের একেবারে ক্ষয়ে যাওয়া সংগঠনে কিছুটা জোয়ার এল৷ পাশাপাশি, বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বও ফের প্রকাশ্যে এল৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.