Advertisement
Advertisement

তুষারপাত শুরু হতেই পর্যটকদের উৎসাহ বাড়ছে সান্দাকফুকে ঘিরে

২০২০-এর মধ্যে পূর্ণাঙ্গ পর্যটনকেন্দ্রের প্রতিশ্রুতি রাজ্যের।

Snowfall in Sandakphu
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:December 16, 2018 7:45 pm
  • Updated:December 16, 2018 7:45 pm  

সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: মরশুমের প্রথম তুষারপাত শুরু হতেই সান্দাকফুকে ঘিরে আগ্রহ বাড়ছে পর্যটকদের। পর্যটন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সরকারিভাবেও কোনও পর্যটনের আবাস রয়েছে কিনা তা জানতে লাগাতার ফোন আসছে রাজ্য পর্যটন দপ্তর এবং জিটিএ পর্যটনের কার্যালয়ে। এতে যেমন ‘অফ সিজন’-এ পর্যটকদের এমন উৎসাহে খুশি হলেও সান্দাকফুতে পূর্ণাঙ্গ পরিকাঠামো না থাকাতে এখনই সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে খুব বেশি পর্যটকদের সামনে তুলে ধরা সম্ভব হচ্ছে না বলে আক্ষেপ বেশ কিছু পর্যটন বিশেষজ্ঞের।

[শীতের মরশুমে হাতছানি দিচ্ছে অরণ্যে ঘেরা পলপলা নদীর বাঁধ]

তার মধ্যেই অবশ্য আশার বাণী শুনিয়েছে রাজ্য পর্যটন দপ্তর সান্দাকফুতে পর্যটন আবাস তৈরির ‘মাস্টার প্ল্যান’ তৈরি করা হয়ে গিয়েছে তাঁদের তরফে। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব জানিয়েছেন, সান্দাকফুকে এ রাজ্যের লাদাখ বানিয়ে তুলতে কয়েক কোটি টাকা লগ্নি করছে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছেতেই সান্দাকফুতে তৈরি হচ্ছে পর্যটকদের জন্য কটেজ। সমস্ত বিষয়টি জিটিএ পর্যটন দেখভাল করলেও আবাস তৈরি করে দিচ্ছে রাজ্য পর্যটন দপ্তর। সম্পূর্ণ পর্যটনকেন্দ্রটি তৈরি হয়ে গেলে তা জিটিএ ট্যুরিজমের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আশাবাদী জিটিএ বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনয় তামাং থেকে পাহাড়ের বিভিন্ন পদাধিকারীরা। জিটিএ সভাসদ অমর সিং রাই আশাবাদী, এটি তৈরি হলে পর্যটনের ক্ষেত্রে নতুন পালক যুক্ত হবে। ডুয়ার্স তরাই ও সিকিম নিয়ে গঠিত পর্যটন সংগঠনের তরফে সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, সান্দাকফুতে বরফ পড়লে তার চেহারা বদলে যায়। আরও বেশি সুন্দর হয়ে ওঠে শৈলরানি। তবে এই বরফ পড়ার কোনও নির্দিষ্ট সময় থাকে না। বিভিন্ন সময় বিক্ষিপ্তভাবে বরফ পড়ে। শুক্রবার থেকে বরফ পড়া শুরু হয়েছে, তবে তা সামান্য মাত্রাতে। তবে একে ঘিরেই এখন পর্যটকদের উৎসাহ রয়েছে। অনেকেই খোঁজখবর করছেন সান্দাকফুতে গেলে বরফের দেখা মিলবে কি না! যা শুখা মরশুমে বাড়তি মাত্রা যোগ করছে।

Advertisement

[শীত বাড়তেই দক্ষিণ রায়ের দর্শনে পর্যটকদের ভিড় সুন্দরবনে]

পর্যটন ব্যবসায়ী তাপসসাধন রায় বলেন, সান্দাকফু বরাবরই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। তবে আপাতত ট্রেকিং রুটগুলি খুব একটা ভাল অবস্থায় না থাকায়, তাদের পর্যটকের সংখ্যা তুলনামূলক কম। হঠাৎ শুক্রবার থেকে বরফ পড়ায় উৎসাহ বেড়েছে। তার উপর এখন সান্দাকফু যাওয়ার পথে গৌরীবাস পর্যন্ত রাস্তা ঝকঝকে করে তৈরি করে ফেলা হয়েছে। ফলে অনেকেই ল্যান্ডরোভার ভাড়া করেও গৌরীবাস পর্যন্ত যাচ্ছেন। ২০১৯-এর মধ্যে পর্যটন দপ্তরের নতুন প্রকল্প তৈরি হয়ে যাওয়ার কথা। ফলে ২০২০ থেকেই নতুন রূপে সান্দাকফুতে আরও বেশি মানুষ আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে রাজ্যের তরফে।

[এবার শীতে আপনার গন্তব্য হোক ‘লাজুক’ কুমাই]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement