উদ্ধার হওয়া সাপ। নিজস্ব চিত্র
বাবুল হক, মালদহ: রাতে ঘুমের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক। প্রবল গরমে ঘরের এসিও চালানো হয়েছিল। আর তারপরই ঘটে বিপত্তি। এসির পিছন থেকে যা বেরিয়ে আসতে দেখা যায়, তাতেই আতঙ্ক ছড়ায়। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘরের কোণায় চলে গিয়েছিলেন তিনি। ওই রাতেই শুরু হয় উদ্ধারকাজ। কিন্তু ঘটনাটি কী? জেলাশাসকের ঘর থেকে উদ্ধার হল সাপ। তাও আবার একটি, দুটি নয়। মোট আটটি সাপ উদ্ধার হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলাশাসকের ঘরে কীভাবে সাপ এল? তাই নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। নিরাপত্তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। রাতেই ওই ঘর থেকে সাপগুলিকে উদ্ধার করা হয়েছে। আরও সাপ আছে কিনা, সেই প্রশ্নও উঠেছে। মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) অনিন্দ্য সরকার। ইংলিশবাজার শহরের মাধবনগর এলাকার সরকারি বাংলোতে তিনি সপরিবারে থাকেন। গতকাল রাতে ঘুমনোর তোড়জোড় চলছিল। ঘরের এসি চালানোর পরেই আতঙ্ক ছড়ায়। এসির ভিতর থেকে বেরতে শুরু করে একাধিক সাপ। তা দেখেই ঘরের নিরাপদ দূরত্বে পরিবারের সদস্যদের সরিয়ে নিয়ে যায় তিনি। দ্রুত খব দেওয়া হয় বনদপ্তরে।
বনদপ্তরের সহযোগিতা নিয়ে সর্প বিষারদ নিতাই হালদার রাতেই ওই বাড়িতে যান। মোট আটটি সাপ উদ্ধার হয়েছে ওই ঘর থেকে। ওই সাপগুলির নাম বাতাচিতি। মূলত ঠান্ডা জায়গা পাওয়ার কারণেই ওই সাপগুলি এসির মধ্যে বাসা বেঁধেছিল। শীতকালে সেগুলি বাসা বেঁধে থাকতে পারে। সেই কথা অনুমান করা হচ্ছে। সাপগুলিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কীভাবে সাপ ঘরের মধ্যে ঢুকল? নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
অতিরিক্ত জেলাশাসক অনিন্দ্য সরকার বলেন, “চৈত্রের গরমে এদিন শোবার ঘরের এসিটা চালাতে শুরু করেছিলাম। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। কিলবিল করে একের পর এক সাপ বেরিয়ে আসে। যা দেখে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। এতগুলো সাপ কীভাবে এসির মধ্যে ঢুকে পড়ল, কিছুই বুঝতে পারছি না। যথা সময়ে বনদপ্তরের সহযোগিতা নিয়ে একজন সর্প বিষারদ বাংলোতে এসে সাপগুলি উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছেন।” জানা গিয়েছে, সাপগুলি বিষধর নয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.