বাবুল হক, মালদহ: শহরে বিষধর সাপের আতঙ্ক। কারও বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে তো কারও আবার বাড়ির নিকাশি নালায় দেখা যাচ্ছে বিষধর সাপ। আতঙ্কিত হলেও সরীসৃপটিগুলিকে মেরে ফেলেননি তাঁরা। খবর পেয়ে বেশ কয়েকটি বাড়ি থেকে বিষধর সাপ উদ্ধার করেছেন স্থানীয় সর্প বিশারদ নিতাই হালদার।আতঙ্ক ছড়িয়েছে মালদহ শহরের মহেশপুরের বাগানপাড়ায়।
[ চা বাগানে ফের উদ্ধার চিতাবাঘের দেহ, মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা]
এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়িতে ঢুকে পড়েছে বিষধর সাপ! প্রাণভয়ে দিন কাটাচ্ছেন মালদহের ইংলিশবাজার ব্লকের যদুপুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মহেশপুরের বাসিন্দারা। স্থানীয় একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষক বাচ্চু মণ্ডল বলেন, “বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে বিষধর গোখরা তিন-চারদিন ধরে ঢুকে রয়েছে।আতঙ্কে রয়েছি। কিন্তু ওই সাপগুলিকে আমরা মারিনি। কারণ এই ধরনের প্রাণী শেষ হয়ে গেলে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হবে।” খবর পেয়ে শনিবার সকালে মহেশপুরে যান স্থানীয় সর্প বিশারদ নিতাই হালদার। বেশ কয়েকটি বাড়ি থেকে বিষধর সাপও উদ্ধার করেছেন তিনি। তবে প্রাণের ভয় থাকলেও এলাকার বাসিন্দারা যে একটি সাপকেও মেরে ফেলেননি, তাতে বেশ অবাকই হয়েছেন তিনি। মালদহ জেলার ওই সর্প বিশারদ জানিয়েছেন, “মহেশপুর এলাকার কয়েকটি বাড়িতে সাপ ঢুকে যাওয়ার খবর আমার কাছে আসার পরই আমি ওই এলাকায় যাই। মেরে ফেলার হতে পারে ভেবেই দ্রুত মহেশপুরে গিয়েছিলাম। কিন্তু অদ্ভত লাগছে, কেউ সাপের কোনও ক্ষতি করেননি। বেশ কয়েকটি বাড়ি সাপ উদ্ধার করেছি। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য সাপগুলিকে বনদপ্তরে পাঠিয়েছি।”
কিন্তু হঠাৎ করে ইংরেজবাজারের মহেশপুরে এত বিষধর সাপ এল কোথা থেকে? ভেবেই পাচ্ছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। জেলার বিভাগীয় বনাধিকারিক কৌশিক সরকার বলেন, “সর্প বিশারদ নিতাই হালদার দীর্ঘদিন ধরে সাপ উদ্ধারের কাজ করে আসছেন। তবে মহেশপুর এলাকায় পরপর কয়েকটি বাড়িতে যে বিষধর সাপ উদ্ধার হয়েছে তার খবর শুনেছি। এলাকার মানুষেরা সচেতন আছেন বলেই সাপগুলির কোনও ক্ষতি করেননি। সাপগুলি আদিনা ফরেস্টে ছেড়ে দেওয়া হবে।”
[ এনআরএসের পর এবার কোচবিহার, উদ্ধার ৫টি সারমেয় শাবকের দেহ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.