সোমনাথ পাল, বনগাঁ: বিষধর সাপ নিয়ে ভুল বুঝিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টা৷ সেই সঙ্গে মহিলাদের সম্ভ্রম নিয়ে টানাটানি৷ শেষ পর্যন্ত রীতিমতো ধাওয়া করে অভিযুক্তকে ধরে ফেললেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ চলল গণপ্রহার৷ ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করেছে পুলিশ৷ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়৷
[ব্যর্থ প্রচেষ্টা, মল্লিকার কিডনি বাঁচাতে পারল না মৌমিতার প্রাণ ]
সাপের খেলা দেখিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন সাপুড়েরা৷ আবার নেহাতই শখে বিষধর সাপ ধরে জঙ্গলে ছেড়ে দেন, এমনও লোক আছে৷ প্রশিক্ষণ ছাড়াই সাপ ধরতে গিয়ে বিপদও ঘটেছে বহুবার৷ প্রাণ গিয়েছে নিরীহ মানুষের৷ কিন্তু, সাপুড়েও নন আবার সাপ ধরার নেশাও নেই; বনগাঁয় স্রেফ লোক ঠকানোর জন্য এক যুবক স্কুটারে সাপ নিয়ে ঘুরে বেড়াত বলে অভিযোগ৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বনগাঁ শহর লাগোয়া বিভিন্ন গ্রামে যেত ওই যুবক৷ মহিলাদের তাবিজ ও কবজ দিয়ে টাকা আদায় করত সে৷ কেউ কিছু বলতে গেলে কিংবা প্রতিবাদ করলেই সাপের ভয় দেখাত৷ মহিলাদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করত বলেও উঠেছে অভিযোগ। এদিকে সংসারের জমানো টাকা দিয়ে, ফল না পেয়ে ক্ষোভে ফুঁসছিলেন এলাকার মহিলারা৷ ঘটনাটি জানতে পেরে রবিবার বিকেলে অভিযুক্ত হাতেনাতে ধরে ফেলেন বনগাঁ শহর লাগোয়া কালিতলা গ্রামের বাসিন্দারা৷
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে প্রথমে স্কুটার নিয়ে পালানো চেষ্টা করে অভিযুক্ত৷ এমনকী, সাপ ছেড়ে দিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হয়৷ কিন্তু তাতেও বিশেষ লাভ হয়নি৷ রীতিমতো ধাওয়া করে বনগাঁ শহরের রামনগর রোডে এসবিআইয়ে শাখার সামনে ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ শুরু হয় গণপিটুনি৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বনগাঁ থানার পুলিশ৷ অভিযুক্তকে উদ্ধার করে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে৷ সাপগুলিকে বনদপ্তরের হাতে তুলে দিয়েছে পুলিশ৷ তবে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানা গিয়েছে৷
[মেয়ের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ৩৫ লক্ষ টাকা, সাহায্যের আশায় অসহায় বাবা-মা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.