স্টাফ রিপোর্টার: কয়েন সমস্যায় জেরবার বাঁকুড়ার বাসিন্দারা। বিশেষ করে সমস্যায় পড়েছেন খুচরো ব্যবসায়ী, হকার ও ভিক্ষুকরা। খুচরো সমস্যায় ব্যবসায়ীরা ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ছেন ক্রেতাদের সঙ্গে। অন্যদিকে পেট চালাতে এখন হাত পাতা কার্যত বন্ধ করতে হয়েছে ভিক্ষুকদের। তারা এখন খুচরো নয়, নোট দেওয়ার আবেদন করছেন দোরে-দোরে। ইতিমধ্যে ভিক্ষে চাওয়ার আদব-কায়দাও বদলে ফেলেছেন তারা। তাঁদের গলায় এখন সমবেত সুর, “ভেবেছিলাম চেয়ে নেব, চাইনি সাহস করে খুচরো দিবি বলে। খুচরো নয়, চাই নোট। বাঁচি হরিনাম করে।” কারণ জানতে চাইলে তাঁরা জানাচ্ছেন, বেশ কিছুদিন ধরে কোনও ব্যবসায়ী এক বা দু’টাকার কয়েন নিতে চাইছেন না। সকলের মুখে একটাই কথা, কয়েন অচল। ফলে শুধু ভিখারিরাই নন, সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষও।
[ OMG! হাইওয়ের টোলপ্লাজা থেকে টাকা লুট করলেন পুলিশকর্মীরাই! ]
অভিযোগ, কয়েন জমা দিতে গেলে ফিরিয়ে দিচ্ছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। এতে প্রতি বাড়িতেই কার্যত কয়েনের পাহাড় জমেছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে কয়েন না নিলেই ঝামেলা করছেন ক্রেতারা। ফলে ক্রেতাদের সঙ্গে বিক্রেতাদের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। তবে বাঁকুড়া জেলার লিড ব্যাঙ্ক ম্যানেজার সুজিতকুমার নন্দী বলেন, “কোনও নোট বা কয়েন অচল এমন কথা কখনই ঘোষণা করেনি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। গোটাটাই গুজব মাত্র। কেউ কয়েন নিতে না চাইলে আপনারা আমাদের কাছে অভিযোগ জানান।”
[নোটে না, খুচরোতেই ব্যাঙ্ক থেকে ২.৩ লক্ষ টাকা হাতাল দুষ্কৃতীরা]
উল্লেখ্য, গত কয়েক দিন রাজ্যের নানা প্রান্তে খুচরো নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলছে। এমাসের শুরুতে মুর্শিদাবাদের প্রতিবন্ধী ভিক্ষুকরা প্রতিবাদ শুরু করেন। দোকানদাররা খুচরো নিতে না চাওয়ায় প্রতিবাদে নামেন তাঁরা| হুগলিতে ভিক্ষুকরা এই একই ইস্যুতে পথ অবরোধ করেছিলেন। এছাড়াও খোদ কলকাতার বুকেই কয়েন সমস্যায় জর্জরিত হয়ে প্রতিবাদে নেমেছিলেন ভিক্ষুকরা| গতমাস থেকেই বাজারে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায় কয়েনের জোগান| এছাড়াও ১ টাকার কয়েন অচল হয়ে গিয়েছে বলে গুজব ছড়ায়| ফলে দোকানদার থেকে শুরু করে গ্রাহক কেউই কয়েন নিতে রাজি নয়| যদিও এমন কোনও ঘোষণা ‘রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’ করেনি| এই সমস্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সন্মুখীন হচ্ছেন ভিক্ষুকরা| কারণ তাঁদের সংগ্রহ খুচরো আর নিতে চাইছে না দোকানদাররা| ফলে কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তাঁরা|
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.