জ্যোতি চক্রবর্তী, বসিরহাট: নদীর পাড় থেকে নরকঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল বসিরহাটের ন্যাজাটে। বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, উদ্ধার হওয়া কঙ্কালটি নিখোঁজ বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডলের। সত্যিই কি উদ্ধার হওয়া দেহাংশ ওই বিজেপি নেতার? সেই প্রশ্নের উত্তরের সন্ধানে ইতিমধ্যেই দেহাংশ উদ্ধার করে ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের জন্য কলকাতায় পাঠিয়েছেন সিআইডি আধিকারিকরা।
২০১৯ সালের ৮ জুন তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির ভাঙ্গিপাড়া। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুই বিজেপি কর্মী ও এক তৃণমূল কর্মীর। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সন্দেশখালি। সেই ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা বিজেপি কর্মী দেবদাস মণ্ডল। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর চালিয়েও কোনও হদিশ মেলেনি তাঁর। এরপরই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় সিআইডি আধিকারিকরা। এই পরিস্থিতিতে শনিবার সকালে সন্দেশখালি ন্যাজাট এলাকার একটি নদীর ধার থেকে উদ্ধার হয় নরকঙ্কাল। হাড়, মাথার খুলি-সহ বিভিন্ন দেহাংশ উদ্ধার করে সিআইডি আধিকারিকরা। কঙ্কালটি উদ্ধারের খবর প্রকাশ্যে আসতেই নিখোঁজ দেবদাস মণ্ডলের স্ত্রী ও স্থানীয় বিজেপি নেতা দুলাল রায়ের দাবি, কঙ্কালটি নিখোঁজ দেবদাসের। তাঁদের কথায়, খুনের পর প্রমাণ লোপাটের জন্যই দেহটি নদীর চড়ে পুঁতে দিয়েছিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। সেই কারণেই দেবদাস মণ্ডল নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার বিষয়টিতে রাজ্য পুলিশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করেনি বলেই অভিযোগ তাঁদের।
এ প্রসঙ্গে সিআইডি আধিকারিকদের তরফে জানানো হয়েছে যে, ইতিমধ্যেই দেহাংশ উদ্ধার করে ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের জন্য কলকাতা পাঠানো হয়েছে। দেবদাস মণ্ডলের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ আদৌ সত্য কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। নিখোঁজ বিজেপি কর্মীর পরিবারের সদস্যের ডিএনএ-এর সঙ্গে উদ্ধার হওয়া কঙ্কালে ডিএনএ এক কি না তা পরীক্ষা করে দেখা হবে। বিষয়টি সময় সাপেক্ষ, তবে ওই রিপোর্ট হাতে আসার পরই গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে জানান তদন্তকারীরা। এদিন কঙ্কাল উদ্ধারের পর থেকেই নতুন করে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে ন্যাজাটে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.