ছবি: প্রতীকী
দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে ৬ বছরের এক শিশুর দেহ উদ্ধার ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে (Kultali)। শিশুর পরিবারের অভিযোগ, জমির সীমানা সংক্রান্ত বিবাদের জন্য ছেলেকে খুন করা হয়েছে। আর তাতে জড়িত স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ও তাঁর স্বামী। শিশুখুনের ঘটনায় লাগল রাজনীতির রং। পরিবারের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে কুলতলি থানার পুলিশ।
গত ৫ জানুয়ারি কুলতলি থানার বাবুরচক এলাকায় সেপটিক ট্যাঙ্ক (Septic Tank) থেকে উদ্ধার হয় ছ’বছরের এক শিশুর মৃতদেহ। তার নাম রাজেশ মণ্ডল। পরিবারের অভিযোগ, ৫ জানুয়ারি দুপুর থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় রাজেশ। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও না পেয়ে থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে পাশের একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার করে রাজেশের দেহ। পরিবার এই ঘটনায় প্রতিবেশী তৃণমূল সদস্যা ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছিল। কিন্তু থানা তা গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ।
রাজেশের বাবা-মায়ের অভিযোগ, প্রতিবেশী জয়ন্তী মণ্ডল তৃণমূল (TMC) পঞ্চায়েত সদস্য। তিনি ও তাঁর স্বামী প্রহ্লাদ মিলে ছেলেকে খুন করে সেপটিক ট্যাংক মধ্যে ফেলে দিয়েছেন। জমির সীমানা নিয়ে রাজেশের বাবা সাগর মণ্ডলের সঙ্গে প্রহ্লাদের সঙ্গে বিবাদ ছিল। তার জন্যই ছেলেকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই দিন পুলিশ খোঁজাখুঁজির সময় তাঁদের বহুবার জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু তাঁরা সহযোগিতা করেনি বলেও অভিযোগ। সেই অভিযোগ কুলতলি থানা গ্রহণ না করায় পরে বারুইপুর জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন সাগর মণ্ডল। তারপর শুরু হয়েছে তদন্ত।
এই ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বিজেপির (BJP) জয়নগর সাংগঠনিক জেলার সদস্য উত্তম হালদার এই ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। আরেকদিকে সিপিএমের কুলতলির এরিয়া কমিটির সম্পাদক উদয় মণ্ডল বলেন, ”কুলতলিতে এই ঘটনা নজিরবিহীন, তৃণমুল ও পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। এলাকার বিধায়ক গণেশচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ”যে কোনও মৃত্যু দুঃখজনক। এই ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় যে-ই জড়িত থাকুক, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.