ছবিতে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বলেরো।
বিক্রম রায়, কোচবিহার: কোচবিহারের মাথাভাঙায় ভয়াবহ পথদুর্ঘটনায় দুই শিশু-সহ ছ’জনের মৃত্যু হল। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন চারজন। আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। যাত্রীবোঝাই বোলেরো নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লরিতে ধাক্কা মারতেই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে। সোমবার রাত একটা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে জামালদা এলাকার ভেলাকোপা অঞ্চলে মাথাভাঙা শিলিগুড়ি রাজ্য সড়কের উপরে।
জানা গিয়েছে, বোলেরো গাড়িতে চেপে দশজনের একটি দল শিলিগুড়িতে ইটভাটার কাজে যাচ্ছিলেন। গাড়িটিতে তিনজন শিশুও ছিল। রাত একটা নাগাদ গাড়িটি ভেলাকোপার কাছে এলে নিয়্ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা লরিতে ধাক্কা মারে। ভয়ঙ্কর শব্দে রাতের নিস্তব্ধতা খানখান হয়ে যায়। একসঙ্গে অনেকগুলি মানুষের আর্তনাদে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। দেখেন ধাক্কার অভিঘাতে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে গাড়িটি। রক্তে ভাসছে চারদিক। একে একে রক্তাক্ত দশজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুই শিশু-সহ ছ’জনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। বাকি চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই হাসপাতালেই ভরতি করা হয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িতে আরও এক শিশু ছিল বলে খবর। মনে করা হচ্ছে, গাড়ি থেকে ছিটকে পড়ে নয়ানজুলিতে শিশুর দেহ ভেসে গিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত এবিষয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় মৃতরা হলেন রত্না মুণ্ডা (৪৫), অজয় সোনা (৩০), সোম সোনা (৩২), পারেয়া মুণ্ডা (৪০)। তাঁরা প্রত্যেকেই শিলিগুড়ি ইটভাটাতে কাজের জন্য যাচ্ছিলেন। যদিও মৃত দুই শিশুর নাম পাওয়া যায়নি। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বুধিয়া খারিয়া (৪০), মনা মুণ্ডা (৩৫), সামারা মুণ্ডা (৪০), বিরাজ মুণ্ডা (১২)। মৃত ও আহতরা প্রত্যেকেই আলিপুরদুয়ারের তুফানগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিতে অতিরিক্ত যাত্রী ছিল। এর জেরে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। চালক মদ্যপ থাকতে পারেন। বা তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে যেতে পারেন। তবে দুর্ঘটনায় চালকের মৃত্যু হওয়ায় এখনই এই বিষয়ে কিছুই জানা যাচ্ছে না। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.