দেবব্রত মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কলকাতা, কোচবিহারের পর এবার ক্যানিং৷ বিষ দিয়ে একসঙ্গে ছ’টি কুকুরকে খুন করার অভিযোগ উঠল স্থানীয় এক ছাগল বিক্রেতার বিরুদ্ধে। এবার ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থানার তালদি গ্রাম পঞ্চায়েতের আঁধলা গ্রাম৷ অভিযুক্ত ছাগল বিক্রেতার নাম আমজাদ গাজি।
ঘটনার খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে ক্যানিং অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান৷ কুকুরদের মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ক্যানিংয়ের রাজ্য প্রাণী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান তাঁরা৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযুক্ত আমজাদ গাজির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইছেন ওই পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরা। একই দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকাবাসীও। অভিযোগ, কুকুরের কামড়ে আমজাদ গাজির একটি ভেড়া মারা যায়। তারই প্রতিশোধ নিতে মৃত ভেড়ার দেহে বিষ মাখিয়ে গ্রামের মাঠের পাশে ফেলে দেয় আমজাদ। আর সেই বিষ মাখানো মরা ভেড়ার মাংস খেয়েই একের পর এক কুকুরের মৃত্যু শুরু হয় ওই গ্রামে। সোমবার সন্ধে পর্যন্ত ছ’টি কুকুরের মৃত্যু হয়েছে। গ্রামের আরও চার-পাঁচটি কুকুর নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। মরা ভেড়ার শরীরে বিষ দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও কুকুর খুনের কথা মানতে চায়নি অভিযুক্ত আমজাদ গাজি।
১৪ জানুয়ারি শিয়ালদহের এনআরএস হাসপাতালের মেটারনিটি বিভাগের কাছে জঞ্জালের স্তূপে রবিবার মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয় ১৬টি কুকুরছানা৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান একাধিক পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরা। ঘটনার পরেরদিনই উত্তেজনার আগুনে ঘি ঢেলে সামনে আসে একটি ভিডিও৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতেই স্পষ্ট কীভাবে মারা হয়েছে কুকুরছানাগুলিকে৷ এই ঘটনার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে কলকাতার রাজপথে প্রতিবাদের ঝড় আছড়ে পড়ে। এনআরএস কাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই ক্যানিংয়ের এই ঘটনায় আবারও সরব পশুপ্রেমীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.