Advertisement
Advertisement

Breaking News

Sitalkuchu

মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া চাকরি নিতে রাজি শীতলকুচির আনন্দ বর্মনের পরিবার

পরিবারের পাশে থাকার কথা রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Sitalkuchi victim Ananda Burman's kin accept job offered by CM Mamata Banerjee| Sangbad Pratidin

কোচবিহারের তৃণমূলের জেলা সভাপতির বাড়িতে শীতলকুচিতে নিহত বিজেপি কর্মী আনন্দ বর্মনের মা ও মামা। ছবি: দেবাশিস দাশ

Published by: Paramita Paul
  • Posted:May 8, 2021 8:43 am
  • Updated:May 8, 2021 8:45 am  

বিক্রম রায়, কোচবিহার: অবশেষে রাজ্য সরকারের দেওয়া চাকরি নিতে চলেছে কোচবিহারে ভোটের দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত কিশোর ‘বিজেপি কর্মী’ আনন্দ বর্মনের পরিবার। আনন্দর দাদা গৌতম বর্মনই রাজ্যের দেওয়া হোমগার্ডের চাকরি নেবেন বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ১০ এপ্রিল কোচবিহারে ভোটের দিন শীতলকুচি (Sitalkuchi) বিধানসভা এলাকায় প্রথমবার ভোট দিয়ে বুথ থেকে বেরনোর সময় দুষ্কৃতীদের গুলিতে আনন্দর মৃত্যু হয়। তাঁকে দলীয় কর্মী বলে দাবি করে ‘গুলি করে খুনের’ অভিযোগে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তোলে বর্মন পরিবার এবং জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।

পরদিনই মাথাভাঙার জোড়পাটকিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) আনন্দ-সহ জোড়পাটকিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃতদের পরিবারকে চাকরির আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপি দফতরে রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠকে হাজির হয়ে ছেলের খুনের জন্য তৃণমূলকে দুষে মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া চাকরি নেবেন না বলে জানান আনন্দর মা বাসন্তী বর্মন। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ফের শপথগ্রহণের পরদিন বৃহস্পতিবারই শীতলকুচিতে গুলিতে মৃত পাঁচ জনের পরিবারেরই একজন করে সদস‌্যকে চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার ওই পাঁচ পরিবারের সদস্যরা কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানেই মাসখানেকের মাথায় কার্যত সুর বদলালেন সন্তানহারা সেই মা। আনন্দ বর্মনের মা বাসন্তী বর্মন এদিন বলেন, “আমরা পুরনো কোনও কথা ধরে রাখতে চাইছি না। মুখ্যমন্ত্রী চাকরি দিচ্ছেন। সেই চাকরি আমরা নেব। তাঁর দেওয়া অর্থসাহায্যও গ্রহণ করব।”

Advertisement

[আরও পড়ুন : ইচ্ছেমতো কেনা যাবে না জিঙ্ক-ভিটামিন সি ট্যাবলেট, করোনা আবহে জারি নয়া নির্দেশিকা]

প্রসঙ্গত, শীতলকুচিতে ভোটের দিন মর্মান্তিক ঘটনার পরদিনই জোড়পাটকিতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আনন্দর পরিবারের কেউ সেদিন যাননি। একমাত্র আনন্দর দাদু মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নাতির খুনের বিচার চান। কিন্তু পরে তাঁকেও বিজেপির দপ্তরে মেয়ে বাসন্তী-সহ বর্মন পরিবারের সঙ্গে হাজির হতে দেখা যায়। সেখানেই আনন্দর মা, দাদা তৃণমূলকে আনন্দর খুনের জন্য দায়ী করে একহাত নেন। শুক্রবার আনন্দর মা, দাদা ও মামা কোচবিহারে তৃণমূল জেলা সভাপতির সঙ্গে দেখা করেন। অবশ্য আনন্দ বর্মনের দাদা গৌতম বর্মন এদিন বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সকলের। তাই তিনি যখন নিহত পাঁচজনের পরিবারকেই সহযোগিতা করছেন, তাহলে অবশ্যই সেই সহযোগিতা নেব। দোষীদের শাস্তির দাবিও করছি। পুলিশ তদন্ত করছে অবশ্যই দোষীদের শনাক্ত করবে।”

[আরও পড়ুন : ‘অসাধু উপায়ে রোগী ভরতির চেষ্টা হলে চামড়া গুটিয়ে নেব’, সাগরদত্ত হাসপাতাল থেকে হুঁশিয়ারি মদনের]

কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত জোড়পাটকির চারজনের পরিবারও এদিন তৃণমূল জেলা সভাপতির সঙ্গে দেখা করেন। জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় এদিন বলেন, “কারও মা, বোন, স্ত্রী বা দাদার চাকরি হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতেই ওঁরা এসেছিলেন। আনন্দ বর্মনের পরিবারকে সেদিন ভুল বুঝিয়েছিল বিজেপি।” অন্যদিকে, শীতলকুচির বিজেপি বিধায়ক বরেন বর্মন বলেন, “এখন পরিস্থিতি অনেকটা পাল্টেছে। আনন্দ বর্মনের পরিবারের লোকজনকে জোর করে নিয়ে গিয়ে পার্থপ্রতিমের ঘরে বসানো হয়েছে। তাঁরা স্বেচ্ছায় যায়নি।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement