রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: এক বছরেই কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ও ভারত সরকারকে দেওয়া শিশিরবাবুরই তথ্য তুলে ধরে শনিবার এমনই অভিযোগ করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তারই পালটা জবাব দিলেন শিশির অধিকারী।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকাকালীন কাঁথির সাংসদের সম্পত্তি বৃদ্ধি পাওয়া ও কমে যাওয়া নিয়ে সরকারের কাছেই জমা তথ্য ওয়েবসাইট থেকে তুলে ধরে কুণালের টুইট ঘিরেই তরজার সূত্রপাত। তৃণমূল মুখপাত্রের এমন তথ্য ও পরিসংখ্যান তুলে অভিযোগের জবাব না দিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণে নেমেছেন শিশির অধিকারী। বলেছেন, “জেলে যাওয়া কারও প্রশ্নের কোনও জবাব আমি দেব না।” শিশিরবাবুর আরও দাবি, “১৯৬৮ সালের ১ নভেম্বরে কেনা আমার সম্পত্তি। সেগুলি যাবে কোথায়? আমি তার জন্য কর দিই। সারদার চোর। সাড়ে ১৬ লক্ষ টাকার রিপোর্টার। এই লোকটা কাজ না পেয়ে এসব কথা বলছে। কাস্টডিতে ছিল। জামিন পেয়ে এখন বক্তৃতা করছে। ১৯৬৮ সাল থেকে আমি কর দিই। সারদার চোর, এরা এখন আমাদের মতো লোকদের বিরুদ্ধে বলবে না তো কোথায় যাবে? আমাদেরকে আক্রমণ করা ওর স্বভাব। ও তো আর ইনকাম ট্যাক্স অফিসার নন।”
শিশির অধিকারীর ব্যক্তিগত আক্রমণ নিয়ে অবশ্য আগেই মুখ খোলেন কুণাল। বলেন, “শিশির অধিকারী যা বলছেন সে তো পালিয়ে যাওয়া। আমি ভাল না খারাপ এটা অন্য বিতর্ক। কিন্তু যে প্রসঙ্গটা ওঁর সম্পত্তির অসংগতি নিয়ে উঠেছে তার উত্তর দেওয়ার মুখ কি ওঁর নেই? আর দ্বিতীয়ত, আমাকে জেলের কথা বলছেন? আপনি, আপনার ছেলেরা যে অমিত শাহের মঞ্চে গিয়ে পায়ে ধরে তাঁদের জুতো পালিশ করছিলেন দাদা, সেই অমিত শাহ যে খুনের মামলায় জেলে ছিল! সেটা তাহলে জেল না তাজমহল?”
কুণালের কথায়, “আপনার ছেলে তো সারদা-নারদা থেকে বাঁচতে জেলের ভয়ে দল বদল করেছে। আর কুণাল ঘোষ তো একই জায়গায় দাঁড়িয়ে মাথা তুলে লড়াই করে যাচ্ছে। কথা বলবেন ভেবে বলবেন। আসল ইস্যুর উত্তর দিন। নইলে বোঝা যাবে বুড়ো বয়সে আপনার ভীমরতি ধরেছে।” শুভেন্দু আবার তমলুক থেকে এর জবাবে বলেন, “শিশির অধিকারী একজন কিংবদন্তি। শিশির অধিকারীর দিকে যারা আঙুল তুলবে, তাদের কাউকে ধ্বংস করতে হবে না। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাদের ধ্বংস করে দেবেন।” পালটা কুণালের তাঁকে প্রশ্ন, “আগে শুভেন্দু প্রকাশ্যে বলুক ওঁর কিংবদন্তি বাবা কোন দলে আছেন?”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.