সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গঙ্গার পাড়ে তৈরি হয়েছে ১০ ফুট বড় গর্ত। ঘাসে ঢাকা গঙ্গার পাড়ের রং এখন রূপোলি। যা দেখেই আতঙ্কে এখনও বুক কেঁপে উঠছে নৈহাটির রামঘাট এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের। ঘটনার ভয়াবহতা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদেরও। শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বিডিডিএস আধিকারিকরা। ওই রূপোলি রঙের গুঁড়ো পদার্থ আদৌ কী, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নৈহাটির রামঘাটে বাজি নিষ্ক্রিয় করছিলেন আধিকারিকরা। সেই সময় প্রচণ্ড বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গঙ্গার দু’পাড়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় দু’দিকে বহু বাড়ি। কিন্তু কীভাবে ঘটল শক্তিশালী বিস্ফোরণ? ঘটনার পর প্রায় ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও উত্তর অধরা। সেই উত্তরের খোঁজেই শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বিডিডিএস আধিকারিকরা। গঙ্গা তীরবর্তী ওই এলাকা খতিয়ে দেখেন তাঁরা। বিডিডিএস আধিকারিকরা জানান, বিস্ফোরণস্থলে প্রায় ১০ ফুটের গর্ত তৈরি হয়েছে। এছাড়া ওই গর্তের পাশ থেকে রুপোলি রঙের একটি গুঁড়ো জাতীয় পদার্থ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই পদার্থ বারুদ নাকি অন্য কোনও রাসায়নিক, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফরেনসিক আধিকারিকরা যদিও এখনও ঘটনাস্থলে পৌঁছননি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশির পড়ায় সমস্ত তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হচ্ছে। তাই ফরেনসিক আধিকারিকরা বিস্ফোরণস্থলে যেতে যত দেরি করবেন, ততই নষ্ট হবে তথ্যপ্রমাণ। তাঁদের কাছ থেকে ঘটনার রিপোর্ট চেয়েছে নবান্ন। ওই রিপোর্ট নবান্নে জমা পড়ার পরই জানা যাবে ওই বাজি নিষ্ক্রিয় করার সময় কেন এমন প্রবল বিস্ফোরণ হল।
এদিকে, এদিন ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি পরিদর্শনে যান নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায়। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন তিনি। বিস্ফোরণের তীব্রতায় যাঁদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাঁদের সঙ্গে আরও একবার কথা বলেন নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান। বিস্ফোরণের অভিঘাতে যাঁদের বাড়ির টিনের চাল উড়ে গিয়েছে সেই পরিবারগুলির হাতে প্লাস্টিক তুলে দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও শুকনো খাবারও দেওয়া হয় তাঁদের। প্রয়োজন ক্ষতিগ্রস্তদের অন্যত্র পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান। যদিও ত্রাণসামগ্রী নিয়ে ক্ষুব্ধ ক্ষতিগ্রস্তরা। পুলিশের ‘নির্বুদ্ধিতায়’ আরও বড় কোনও ক্ষতি হতে পারত বলেই জানাচ্ছেন স্থানীয়রা।
বিস্ফোরণের পর থেকে থমথমে পরিস্থিতি গঙ্গার ওপাড়ের চুঁচুড়াতেও। শক্তিশালী বিস্ফোরণের অভিঘাতে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৫০০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেই দাবি তাঁদের। বাড়ি মেরামতির কাজও শুরু করে দিয়েছেন অনেকেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.