তারক চক্রবর্তী ও রঞ্জন মহাপাত্র: বাড়িতে মেঝেয় বসে রয়েছেন তিনি। উলটো দিকে বাজছে হারমোনিয়াম। আর তার সঙ্গে গলা মিলিয়ে গেয়ে চলেছেন, “রঘুপতি রাঘব রাজা রাম…।” দেশজুড়ে যখন রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার উন্মাদনা তুঙ্গে, ঠিক তখন এভাবেই সোমবারের সকাল শুরু করলেন শিলিগুড়ির তৃণমূল নেতা গৌতম দেব। সংহতির বার্তা দিতে আজই পথে নামছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক সেদিনই শিলিগুড়ির তৃণমূল নেতার রামবন্দনা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক মহলে জোর চাপানউতোর।
তবে রামবন্দনাকে রাজনীতির রং দিতে চান না গৌতম দেব। তিনি বলেন, “জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর খুবই প্রিয় ভজন। তিনি এটি সারা দেশের সমস্ত জায়গায় গেয়েছেন। সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের লক্ষ্যে এই ভজন। ঈশ্বর-আল্লাহ তেরে নাম। আমাদের দেশে সীতারামই পূজিত হন। কিন্তু এখন শুধু শুনি জয় শ্রী রাম। কিন্তু সীতা কেন উচ্চারিত হয় না? সীতা মায়ের পুজো সমভাবে হোক, এটাই কাম্য।” তিনি আরও বলেন, “আমি কোনও ভোটের রাজনৈতিক কথা বলব না। রামায়ণ আমাদের সকলের।”
এদিকে, রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিন কাঁথির শান্তিকুঞ্জে উৎসবের আবহ। রবিবার থেকে গেরুয়া আলো ও পতাকায় সেজেছে গোটা বাড়ি। সোমবার সকালে বাড়ির পাশের শিবমন্দিরে পুজো দেন দিব্যেন্দু অধিকারী। সঙ্গে ছিলেন দিব্যেন্দু অধিকারীর স্ত্রী সুতপাও। এছাড়া এদিন বালুরঘাটের আত্রেয়ী নদীর পাড়ে ১ লক্ষ প্রদীপ জ্বালানোর সিদ্ধান্ত। বিশেষ দিনে দিপালী নগর এলাকায় নিজস্ব কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। এতদিন তাঁর কার্যালয়টি শহরের একটি ভাড়াবাড়িতে ছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.