শান্তনু কর: ফের বাজিমাত জলপাইগুড়ির৷ মাধ্যমিকে তৃতীয় স্থান দখলের পরে এবার রাজ্যে উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম স্থান অধিকার করল জেলার পড়ুয়া। আবার মেধা তালিকায় সেই জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল। এবছরের উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৯৬ পেয়ে রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করল জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলের ছাত্র গ্রন্থন সেনগুপ্ত।
[ প্রকাশিত উচ্চ মাধ্যমিকের ফল, এবার প্রথম জলপাইগুড়ির গ্রন্থন সেনগুপ্ত ]
নিশিদিন ভরসা রাখিস, ওরে মন, হবেই হবে…৷ একেবারে সুরে গেয়ে উঠলেন গৌতমবাবু৷ তারপর সহাস্যে বললেন, হল তো৷ হ্যাঁ, হয়েছে৷ কলা বিভাগে পড়েই তাঁর ছেলে রাজ্যে উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছে৷ তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬৷ অন্যদিকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এবার চলে গিয়েছে দ্বিতীয় স্থানে৷ বিজ্ঞান মানেই প্রথম এই মিথ এবার ভেঙে দিয়েছে গ্রন্থন৷ প্রত্যাশিতভাবেই খুশির জোয়ারে ভেসেছেন মা-বাবা৷ বস্তুত এদিন রাজ্য উচ্চ মাধ্যমিক কাউন্সিলের পক্ষ থেকে ফলাফল ঘোষণার পরেই শহরের হাকিম পাড়ার সেনগুপ্ত বাড়িতে উৎসবের মেজাজ। গ্রন্থনের বাবা গৌতম সেনগুপ্ত একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী, মা মৌসুমি কালিয়াগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। দুজনেই ছেলের এই সাফল্যে দারুণ খুশি৷ আসছেন প্রতিবেশীরাও৷ ছোট থেকে বড় হতে দেখা গ্রন্থনের সাফল্যে আত্মহারা তাঁরাও৷
ছোটবেলায় জলপাইগুড়ি শিশুনিকেতন জুনিয়ার বেসিক স্কুলে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে গ্রন্থন৷ পরে জেলা স্কুলে ভরতি হয় সে। মাধ্যমিকে ৪৬৪ নম্বর পাওয়ার পরে উচ্চ মাধ্যমিকে কলা বিভাগে পড়া শুরু করে। তাতেও বাজিমাত করল৷ গৌতমবাবু এবং মৌসুমিদেবী বলেন, ছেলের এই সাফল্যে খুশি তাঁরা। পড়াশোনার পাশাপাশি গ্রন্থন গান এবং নাটক করে। নাটকের জন্য সে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছে। তার গানের গলা যে কতটা ভাল, এই ভিডিওতেই তা ধরা থাকল৷ বাবার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে গাইল সে, নিশিদিন ভরসা রাখিস, হবেই হব…৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.