Advertisement
Advertisement

Breaking News

শিলিগুড়ির ইতিহাস বিজড়িত টাউন স্টেশন সম্পূর্ণ মহিলা পরিচালিত হওয়ার অপেক্ষায়

মহিলারাই ট্রেন আসা-যাওয়া, সিগনাল, লগ, অপারেশন থেকে যাবতীয় কাজ পরিচালনা করেন।

Siliguri Town station operated by women
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:March 8, 2019 9:49 am
  • Updated:March 8, 2019 9:49 am  

সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: স্টেশন মাস্টার পাঁচ জন। পয়েন্টসম্যান তিন জন। পোর্টার দু’জন। জুনিয়র কমার্শিয়াল ক্লার্ক চার’জন। মাল্টিস্কিলড স্টাফ ১১ জন। চারজন গেটকিপার। এর মধ্যে একমাত্র ওই চারজন গেটকিপারই শুধু পুরুষ। বাকি সবাই মহিলা। রবীন্দ্রনাথ, বাঘাযতীন, গান্ধীজির পদধূলিধন্য ইতিহাস ও ঐতিহ্য সমৃদ্ধ শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন সম্পূর্ণ মহিলা পরিচালিত স্টেশন হিসেবে ঘোষণার অপেক্ষায়। আগে গোটাটাই সাধারণ স্টেশন ছিল। যে চারজন পুরুষ গেটকিপার রয়েছেন, তাঁদের বদলি করে সেখানে মহিলা গেটকিপার আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তা হলে এটি উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল তো বটেই গোটা রাজ্যের প্রথম পূর্ণাঙ্গ মহিলা পরিচালিত স্টেশন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। রাজ্যে যেমন এ ধরনের স্টেশন আর দ্বিতীয়টি নেই, গোটা দেশের হিসেব ধরলে এ ছাড়া আর মাত্র তিনটি স্টেশন রয়েছে, যেখানে মহিলারাই ট্রেন আসা-যাওয়া, সিগনাল, লগ, অপারেশন থেকে যাবতীয় কাজ পরিচালনা করেন। ফলে ব্যতিক্রমী হিসেবে ইতিমধ্যেই রাজ্যের নজর কেড়েছে স্টেশনটি।

Advertisement

স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র স্টেশন মাস্টার প্রতিমা দে বলেন, “আমাদের স্টেশনে নতুন যাঁরা আসেন তাঁরা সবাই মহিলা বলে অনেকে চমকে যান। ভাল করে খুঁটিয়ে দেখেন। প্রথম প্রথম অস্বস্তি হত, এখন গা-সওয়া হয়ে গিয়েছে।” সম্প্রতি স্টেশনটিকে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। মাত্র কয়েকদিন আগেই স্টেশনটিকে আরও আধুনিকীকরণ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে স্টেশন ঘুরে গিয়েছেন কাটিহারের এডিআরএম চন্দ্রপ্রকাশ গুপ্তা। ছিলেন এডিআরএম পার্থপ্রতিম রায়ও। পুরনো ঐতিহ্য ও ঐতিহাসিক মূল্য সংরক্ষণের জন্য তারা বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছেন। সম্পূর্ণ মহিলা পরিচালিত স্টেশন হিসেবে ঘোষণা করতে শুধুমাত্র আর চারজনের বদলি প্রয়োজন। তারপরই সরকারিভাবে ঘোষণা হবে। তবে স্টেশনটি পরিচালনার সমস্ত কাজই এখন পুরোদমে চালাচ্ছেন মহিলারা। দিন-রাত চব্বিশ ঘন্টা ডিউটি করতে হচ্ছে মহিলাদের। ফলে বাড়ানো হয়েছে স্টেশনের নিরাপত্তাও। প্ল্যাটফর্মে এবং ঢোকা বেরোনোর মুখে আটটি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার জানান, গত বছর যখন তিনি দায়িত্ব নিয়ে শিলিগুড়ি জংশন স্টেশন থেকে টাউন স্টেশনে বদলি হয়ে এলেন তখনও রাতের দিকে গা ছমছম করত। এলাকায় রাতে জুয়ার ঠেকের পাশাপাশি মদ্যপদের উৎপাতও ছিল। ভীতিমূলক প্রচার থাকায় কাজ করতে এসে ভয় ছিল। তবে এখনও বড় কোনও সমস্যায় পড়তে হয়নি। ছোটখাটো ঝুট ঝামেলা তো সব জায়গাতেই লেগে থাকে জানালেন প্রতিমাদেবী। তবে সে সব গোলমাল আরপিএফ কর্মীরাই সামনে দিয়েছেন। আর এখন তো আলো, ক্যামেরা দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে জানালেন অন্য এক মহিলাকর্মী।

[নারী দিবসে বিশেষ উদ্যোগ, আজ প্রথম অর্ধে রেলের সব দায়িত্বে মহিলারা]

 

[স্কুলে নয় মেয়েকে মধুচক্রে পাঠাত মা, পুলিশের জালে পাঁচ অভিযুক্ত]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement