ধীমান রায়, কাটোয়া: মুদিখানা দোকানের সাইনবোর্ড তৈরি করা হয়েছে আধারকার্ডের আদলে। কাটোয়ার স্টেশনবাজারের একটি দোকানে এহেন সাইনবোর্ড ঘিরে এলাকায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিত নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র নিয়ে কোনও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রচার করা যায় কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়দের একাংশ।
কাটোয়া স্টেশনবাজারে রয়েছে ওই মুদিখানা দোকানটি। দোকান মালিকের নাম হরিদাস বণিক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি তিনি পুরানো সাইনবোর্ডটি বাতিল করে দোকানে একটি নতুন সাইন বোর্ড ঝুলিয়েছেন। সেই সাইনবোর্ডটি আচমকাই দেখলে ভিমড়ি খেতে হবে। দোকানে সাইনবোর্ডে অবিকল আধার কার্ডের মতো! সাইনবোর্ডে একেবারে উপরে লোগো। তার নিচে লেখা রয়েছে ভারত সরকার, ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অব গর্ভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া। মুদিখানা আইডি লিখে উল্লেখ করা হয়েছে, দোকানের জিএসটি নম্বর। আর আধারের নম্বরের জায়গায় লেখা দোকানের মালিকের ফোন নম্বর। আধার কার্ডে যেমন নাগরিকের জন্মতারিখ ও সাল উল্লেখ থাকে, তেমনি দোকানের সাইনবোর্ডেও লেখা মালিকের জন্মতারিখ ও সাল!
[ সংসার চালাতে পিংক ক্যাবের চালকের ভূমিকায় মহিষাদলের এই গৃহবধূ]
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই দোকানে মালিকের নাম হরিদাস বণিক। তিনি ও তাঁর ছেলে অশ্রুজিৎ দু’জনেই দোকানে বসেন। কয়েকজন কর্মচারীও দোকানে কাজ করেন। দোকানের মালিকের ছেলে অশ্রুজিত বণিক বলেন, “একবার কালীপুজোর সময় এক ক্লাবের আমন্ত্রণপত্র আধারকার্ডের আদলে দেখেছিলাম। সেটা দেখেই আমাদের দোকানের সাইনবোর্ড আধার কার্ডের আদলে করার সিদ্ধান্ত নিই। তবে আমরা এই সাইনবোর্ডে অশোকস্তম্ভ ব্যবহার করিনি।” কিন্তু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে কি এমন সাইনবোর্ড তৈরি করা যায়? কাটোয়া মহকুমাশাসকের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
ছবি: জয়ন্ত দাস
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.