নিজস্ব সংবাদদাতা, তেহট্ট: একজন ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। আর একজন প্রথম শ্রেণিতে। মঙ্গবার সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ভাই ও বোনের। ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় নদিয়ার পলাশিপাড়ায়। ঘাতক গাড়ির চালক, খালাসি-সহ তিনজনকে বেধড়ক মারধর করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আক্রান্তদের উদ্ধার করে পুলিশ। এদিকে আবার করিমপুর থেকে তেহট্ট যাওয়ার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দোকান ও স্কুলের দেওয়ালে ধাক্কা মারল অ্যাম্বুলেন্স। ঘটনায় আহত ৬ জন।
[ টিউশন থেকে ফিরতে দেরি হওয়ায় বকুনি, কীটনাশক খেল ২ বোন]
নদিয়ার পলাশিপাড়ার পুলসুন্ডার বারুইপাড়ায় থাকে সোহানা খাতুন ও জাহির শেখ। সম্পর্কে ভাই-বোন। পুলসুন্ডা আদর্শ বিদ্যাপীঠের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সোহানা। ওই স্কুলেই পড়ে জাহিরও। সে প্রথম শ্রেণির ছাত্র। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল দশটা নাগাদ সাইকেলে চেপে স্কুলে যাচ্ছিল দিদি ও ভাই। তারা দু’জন যখন পুলসুন্ডা হাই স্কুলের কাছে পৌঁছয়, তখন একটি বাসকে ক্রেনের সাহায্যে মেরামতির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। আচমকাই সাইকেল সমেত সেই বাসের নিচে ঢুকে যায় সোহানা ও জাহির। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় দু’জনের। চোখের সামনে এমন মর্মান্তিক ঘটনা দেখে ধের্য্যের বাঁধ ভাঙে স্থানীয় বাসিন্দাদের। ঘাতক ক্রেনটির চালক, খালাসি-সহ তিনজনকে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করেন তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পলাশিপাড়া থানার পুলিশ। কোনওমতে আক্রান্তদের উদ্ধার করা হয়। দোষীদের শাস্তির দাবিতে দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে বিক্ষোভ। ক্রেন ও বাসটিকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে দুর্ঘটনা ঘটেছে তেহট্টের বেতাই বাজারেও। করিমপুরের দিক থেকে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে তেহট্টের দিকে যাচ্ছিল একটি অ্যাম্বুলেন্স। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, অ্যাম্বুলেন্সে কোনও রোগী ছিল না। করিমপুর-কৃষ্ণনগর রোডে বেতাই বাজার এলাকায় নিয়্ন্ত্রণ হারান অ্যাম্বুলেন্স চালক। একটি দোকান, স্কুলের দেওয়াল ও একটি ভ্যানে ধাক্কা মারে অ্যাম্বুলেন্সটি। আহত হন ৬ জন। আহতদের প্রথম নিয়ে যাওয়া হয় তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে। পরে দু’জনকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে। এদিকে সাতসকালে এই দুর্ঘটনার কারণে সাময়িক যানজট তৈরি হয় করিমপুর-কৃষ্ণনগর রোডে। রোগী না থাকা সত্ত্বেও কেন অ্যাম্বুলেন্সটি এত জোরে যাচ্ছিল? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
[জলের অভাবে নষ্ট ফসল, আউশগ্রামে ঋণের দায়ে আত্মঘাতী কৃষক]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.