Advertisement
Advertisement

বনধ তুললে কথা হবে, মোর্চাকে বার্তা রাজ্যর

সিকিমের গোর্খাল্যান্ড ভূমিকায় ক্ষোভ।

Shun violence for peace talks, Partha Chatterjee tells Morcha
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 22, 2017 10:13 am
  • Updated:June 22, 2017 10:13 am  

ব্রতীন দাস, শিলিগুড়ি: বনধ প্রত্যাহারে মোর্চার শর্ত। রাজ্য তা যে আমল দিচ্ছে না তা স্পষ্ট করে দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শিলিগুড়িতে সর্বদলীয় বৈঠকে রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রীর সাফ কথা, আগে বনধ তুলুক তারপর কথা। তবে আলোচনার জন্য রাজ্য সবসময় তৈরি বলে জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে মোর্চাকে সমর্থন জানিয়েছেন। সিকিমের এই পদক্ষেপ হতাশ রাজ্য সরকার। রাজ্য প্রশাসনের পদক্ষেপের পাল্টা হিসাবে আগামী শনিবার জিটিএ-র সমস্ত সদস্য ইস্তফা দেবেন। এমনকী জিটিএ চুক্তির প্রতিলিপিও পোড়ানো হবে।

[পাহাড়ে মোর্চার আন্দোলনকে সমর্থন, নেপালের মাওবাদীদের চিঠি]

প্রতিদিনই রাজ্যের সঙ্গে সংঘাত বাড়াচ্ছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। নতুন নতুন শর্ত দিয়ে প্রশাসনকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছেন বিমল গুরুং। মোর্চা জানিয়েছে পাহাড় থেকে সেনা, আধা সেনা এবং অতিরিক্ত বাহিনী না সরা পর্যন্ত বনধ চলবে। রাজ্যের সঙ্গে যুদ্ধ জারি রেখে বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে সর্বদল বৈঠকও এড়ায় মোর্চা। এই বৈঠকে গরহাজির ছিল বাম, কংগ্রেস এবং বিজেপিও। এমনকি সরকারের গঠিত উন্নয়ন পর্ষদগুলি থেকে মাত্র দুটি বোর্ডের চেয়ারম্যান যোদ দেন বৈঠকে। অন্যান্য দলগুলি না থাকলেও এদিন নির্ধারিত সময়ে বৈঠক শুরু হয়। কীভাবে পাহাড়কে সচল রাখা যায় তা নিয়ে হয় আলোচনা। স্বরাষ্ট্রসচিব মলয় দে, রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, গৌতম দেবরা ছিলেন বৈঠকে। পাহাড় নিয়ে সর্বদল বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রসচিব মলয় দে জানান, সংবিধান মেনেই প্রশাসন কাজ করছে। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি আশাবাদী। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, শান্তি ফেরানোর দায়িত্ব পাহাড়বাসীরও সমানভাবে রয়েছে। বৈঠক শেষে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বুঝিয়ে দেন মোর্চার শর্ত তারা মানবেন না। পাল্টা প্রশ্ন তুলে তিনি জানান পাহাড়ে কবে বনধ উঠবে। তবে শান্তি ফেরাতে রাজ্য  আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে। পাহাড় স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে আলোচনাই যে পথ তা জানিয়ে দেন পরিষদীয়মন্ত্রী। প্রতিবেশী সিকিম গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে সমর্থন জানানোয় রাজ্য যে ভালভাবে নিচ্ছে না তা বুঝিয়েছেন পার্থ। পরিষদীয় মন্ত্রীর কথায় প্রত্যেক রাজ্যকে এই নিয়ে আরও দায়িত্ববান হতে হবে।

Advertisement

[তারকেশ্বর মন্দির ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম! জানেন সত্যিটা কী?]

রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপের মধ্যে মোর্চাও পাল্টা ঘুঁটি সাজাচ্ছে। সূত্রের খবর,  আগামী ২৪ জুন জিটিএর সমস্ত সদস্য ইস্তফা দেন। এর দু’দিন পর জিটিএর চুক্তির প্রতিলিপি পোড়ানো হবে। পাহাড়ের আন্দোলনের রূপরেখা তৈরিতে ২৪ তারিখ মোর্চার ডাকে একটি বৈঠকের কথা ছিল। ওই বৈঠক সম্ভবত হচ্ছে না। কারণ পাহাড়ের অন্যান্য দলগুলি মোর্চাকে জিটিএ ছেড়ে আসার শর্ত দিয়েছিল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement