ছবি: প্রতীকী
নিজস্ব সংবাদদাতা: মন্দিরের প্রণামী বাক্সের টাকা অন্য কোনও কাজে দেওয়া যায় না৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত এবার নোট সংকট৷ বিশেষ পরিস্থিতি৷ তাই সেই প্রণামি বাক্স বা দান পেটিই ভাঙতে হল শ্রমিকদের মজুরি দেওয়ার জন্য৷ অন্যান্য বছর জমানো টাকা থেকে উৎসবের দিনের শেষে দিনমজুরদের মজুরি দেওয়া হয়ে থাকে৷ কিন্তু নোটের গেরোয় বরাবরের নিয়ম ভাঙতে হল খড়গপুর জগন্নাথ মন্দির রাস উৎসব কমিটিকে৷ সোমবার মন্দির চত্বরে বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত চার দিনমজুরকে দানপেটি থেকে মজুরি দেওয়া হয়েছে৷ প্রত্যেককে তিনশো টাকা করে মজুরি দেওয়া হয়েছে৷ এই টাকাটিই প্রতিবছর জমানো অর্থ থেকে দেওয়া হত৷ দানপেটিতে হাত দিতে হত না৷
তবে এইটুকু বিড়ম্বনা বাদে সোমবারের রাস উৎসব পরিচালনায় আর কোনও অসুবিধায় পড়তে হয়নি খড়গপুর জগন্নাথ মন্দির রাস উৎসব কমিটিকে৷ বরং কমিটির কর্তারা নিশ্চিন্তে রয়েছেন৷ কারণ, ৩২ বছরে পদার্পণ করা এই উৎসব কমিটি শুরু থেকেই যাবতীয় পেমেন্ট চেকের মাধ্যমে করে আসছে৷ ফলে উৎসবের উদ্যোক্তারা পুরোপুরি চাপমুক্ত রয়েছেন৷ এবারেও প্রতি বছরের মতো ১৫ হাজার মানুষকে ভোগ খাইয়েছে খড়গপুর জগন্নাথ মন্দির রাস উৎসব কমিটি৷ এর সঙ্গে রয়েছে উৎসবের অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ৷ সব মিলিয়ে কয়েক লক্ষ টাকার ব্যাপার৷ যদিও তার মধ্যে কিছু খরচ দান হিসাবে পায় এই উৎসব কমিটি৷
এই ব্যাপারে উৎসব কমিটির সহকারী কোষাধ্যক্ষ দ্বারকেশপ্রসাদ পট্টনায়েক জানিয়েছেন, এবারে উৎসবের দিন মন্দির চত্বরে সাফাই সহ অন্যান্য কাজের জন্য নিযুক্ত চারজন দিনমজুরকে নগদে তিনশো টাকা করে মজুরি দেওয়া হয়েছে৷ এই পুরো টাকাটাই এইদিন দানপেটিতে জমা হওয়া খুচরো টাকা থেকে নগদে দেওয়া হয়েছে৷ অন্যান্যবার পুরনো জমা হওয়া টাকা থেকে দেওয়া হত৷ এবারে পাঁচশো এবং হাজার টাকা বাতিল হওয়ার কারণে বরাবরের নিয়ম ভাঙতে হয়েছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.