ফাইল ছবি
আকাশনীল ভট্টাচার্য, বারাকপুর: জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই এলাকা ছেড়েছিল সে। আত্মগোপন করেছিল উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের অমরাবতী এলাকার একটি আবাসনে। কিন্তু, তাতেও শেষরক্ষা হল না। রবিবার মধ্যরাতে ফ্ল্যাটে ঢুকে ‘হাওড়ার ত্রাস’ রামমূর্তি ওরফে রামুয়াকে গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা। তার স্ত্রী ও মেয়েকেও খুনের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, রামুয়াকে খুন করেছে তার শাগরেদরাই। তদন্তে নেমেছে খড়দহ থানার পুলিশ।
[ সারমেয় প্রেম কি অপরাধ! বেলঘরিয়ায় এক গৃহবধূকে ‘হেনস্তা’]
হাওড়ার কুখ্যাত দুষ্কৃতী রামমূর্তি ওরফে রামুয়া। একাধিক খুন ও তোলাবাজি মামলায় অভিযুক্ত সে। পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৬ ডিসেম্বর জেল থেকে ছাড়া পায় রামুয়া। এরপরই পরিবার নিয়ে গা-ঢাকা দেয় ওই কুখ্যাত দুষ্কৃতী। উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের অমরাবতী এলাকায় একটি আবাসনে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকত রামুয়া। ওই ফ্ল্যাটেই থাকে রামুয়ার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ে।স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রবিবার মধ্যরাতে বাইক চালিয়ে ওই আবাসনের সামনে আসে জনা পাঁচেক দুষ্কৃতী। সকলের মুখেই কাপড় বাঁধা ছিল। কলিং বেলের শব্দ পেয়ে দরজা খোলে রামুয়ার ছেলে। তার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে আবাসনের উপর চলে যায় দুষ্কৃতীরা। ফ্ল্যাটে ঢুকে একই কায়দায় মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে রামুয়ার স্ত্রী ও মেয়েকেও খুনের হুমকি দেওয়া হয়। এরপর খুব কাছ থেকে রামুয়াকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। চিৎকার শুনে যখন আবাসনের অন্য বাসিন্দারা ওই ফ্ল্যাটে পৌঁছান, ততক্ষণে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় রামমূর্তি ওরফে রামুয়াকে নিয়ে যাওয়া হয় পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
কিন্তু কারা খুন করল কুখ্যাত দুষ্কৃতী রামুয়াকে? প্রাথমিক তদন্তে পুলিশে অনুমান, একসময়ে যারা শাগরেদ ছিল, তারাই খুন করেছে রামুয়াকে। তবে খুনের নেপথ্যে তার স্ত্রী-র থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা।
[আকাশ জুড়ে ঘুড়ির বাহার, উৎসবে মাতল শিলিগুড়ি]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.