বিক্রম রায়, কোচবিহার: দিনেদুপুরে কোচবিহারের জেলা তৃণমূল (TMC) সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের গ্রামের বাড়িতে দুষ্কৃতীদের গুলি। এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল। রবিবার দুপুর তিনটে নাগাদ জিরানপুর এলাকায় বাইকে চড়ে এসে তাঁর গ্রামের বাড়িতে ঢুকে আচমকাই কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। সেই শব্দে বেরিয়ে আসেন প্রতিবেশীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বুলেটের অংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুষ্কৃতীরা ততক্ষণে চম্পট দিয়েছে। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
এই বাড়িটি পার্থপ্রতিমের পৈতৃক ভিটে। তিনি নিজে কর্মসূত্রে কোচবিহার শহরে থাকলেও জিরানপুরের এই বাড়িতে তাঁর মা, বাবা থাকেন। এহেন ঘটনায় তাঁরা খুবই আতঙ্কিত। ঘটনার খবর পেয়ে কোচবিহার (Cooch Behar) শহর থেকে জিরানপুরে ছুটে যান জেলা তৃণমূল সভাপতি। তিনি কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গুলিচালনার ঘটনার পর থেকে তাঁর বাড়িতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে ব্যবহৃত বুলেট। ঘটনায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন কেএলও-র (KLO) হাত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, দিন কয়েক আগে এই জিরানপুর এলাকা তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। গ্রাম পঞ্চায়েতের সভা চলাকালীন ঝামেলা হয়। সেই ঝামেলার জেরেই রবিবার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের বাড়িতে এই হামলা কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে আরও একটি সম্ভাবনাও থাকতে পারে বলে মত পুলিশের একাংশের। কয়েকদিন আগে উত্তরবঙ্গ ভাগ নিয়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন কেএলও-র তরফে হুমকি চিঠি পেয়েছিলেন পার্থপ্রতিম রায় ও প্রাক্তন মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। তাতে স্পষ্ট লেখা ছিল, উত্তরবঙ্গ ভাগ নিয়ে কোনও রকম বিরোধিতা বরদাস্ত নয়। কিন্তু তৃণমূলের আদর্শ অনুযায়ী, বঙ্গবিভাজনের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন কোচবিহারের জেলা সভাপতিও। তাই কি ভয় দেখাতে এই হামলা চালিয়েছে কেএলও? আশঙ্কা থাকছেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.