চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: ভরা সন্ধ্যায় শুট আউটের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল কুলটিতে সীতারামপুরের পতিতাপল্লিতে৷ সিনেমার কায়দায় এক যুবককে অপহরণ করতে এসে ধরা পড়ে গেল দুষ্কৃতীরা৷ পালানোর জন্য এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে তারা৷ সেই গুলির আঘাতেই গুরুতর জখম হন দু’জন৷ বন্দুকের বাঁটের আঘাতে মাথা ফেটে যায় আরও দু’জনের৷ তাঁদের ভরতি করা হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে৷ স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে যায় দুই দুষ্কৃতী৷ তাদের গণপ্রহার দিয়ে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে৷
[পাঁচ মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে তছনছ কান্দির গোকর্ণ, ভাঙল একাধিক কালীপুজোর মণ্ডপ]
কুলটির সীতারামপুরের পতিতাপল্লিতে দুষ্কৃতী হানার এই ঘটনাটি ঘটে রবিবার সন্ধ্যায়। জানা গিয়েছে, এক যুবককে অপহরণ করতে আসে দুই দুষ্কৃতী৷ তাঁদের রাস্তা রুখে দাঁড়ান স্থানীয়রা৷ এরপরেই আশপাশের লোকজনকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় ওই দুই দুষ্কৃতী। গুলিতে জখম হন দু’জন। বন্দুকের বাঁটের আঘাতে মাথা ফাটে দু’জনের। কিন্তু শেষ রক্ষা হয় না৷ স্থানীয় বাসিন্দারা ধরে ফেলেন ওই দুই দুষ্কৃতীকে৷ গণপ্রহার দিয়ে তাদের তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। আহতদের আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে৷
[জিএসটি জট ও আইনের প্যাঁচে বিলুপ্তির পথে হাওড়ার বাজি শিল্প]
জানা গিয়েছে, পতিতাপল্লিতে আসা ওই যুবকের নাম অমিত কুমার গুপ্তা৷ বাড়ি বিহারের ঔরঙ্গাবাদ। প্রায়ই তাঁকে আসেন শীতল নামে এক মহিলার কাছে আসতে দেখা যায়৷ এদিন দু’দিনের জন্য তিনি এসেছিলেন সীতারামপুরে। স্থানীরা জানিয়েছেন, ঝাড়খণ্ড পুলিশের পরিচয় দিয়ে শীতলের বাড়িতে ঢোকে ওই দুই দুষ্কৃতী। অমিতকে বলপূর্বক বাইরে বের করা চেষ্টা করে৷ চিৎকারে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তখনই অমিত চিৎকার করে বলেন তাঁকে ওই দুই দুষ্কৃতী অপহরণের চেষ্টা করছে। এরপরেই স্থানীয়রা রুখে দাঁড়ান। তখনই গুলি চালায় এবং বন্দুকের বাঁট দিয়ে আঘাত করে তারা৷ অমিতের হাতে গুলি লাগে। অন্য আরেকজনের কাঁধ ঘেঁষে চলে যায় একটি গুলি৷ বন্দুকের বাঁট দিয়ে মেরে মহম্মদ আজাদ ও আরেক যুবকের মাথা ফাটিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। পালানোর চেষ্টা করলেও দুই দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা৷ খবর দেওয়া হয় নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশকে। পুলিশ এসেই দুই দুষ্কৃতীকে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে৷ পুলিশ সূত্রে খবর, দুই অপহরণকারীর বাড়ি ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ জেলার তুণ্ডিতে। সঞ্জয় মণ্ডল ও চিন্তামণি মণ্ডল তাদের নাম। ধৃতদের দাবি, অমিত গুপ্তা তাদের কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকা নিয়েও ফেরত দিচ্ছিল না। তাই অমিতের খোঁজ পেয়ে তাঁকে তুল নিয়ে যেতে আসে তারা।
ছবি: মৈনাক মুখোপাধ্যায়
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.