শেখর চন্দ্র, আসানসোল: শুটআউট আসানসোলের (Asansol) রেল শহর চিত্তরঞ্জন। গভীর রাতে পরপর ৬ থেকে ৭ রাউন্ড গুলি চালিয়ে নৃশংসভাবে খুন করা হল এক রেলকর্মীকে। গাড়ির ভিতরেই উদ্ধার হল আনন্দ কুমার ভাট নামে এক রেলকর্মীর মৃতদেহ। ঘটনা ঘিরে শনিবার সকাল থেকে চাঞ্চল্য চিত্তরঞ্জনে। যৌথভাবে তদন্তে নেমেছে পুলিশ ও আরপিএফ। কী কারণে তাঁর উপর এই প্রাণঘাতী হামলা, তার দ্রুত কিনারা করতে তৎপর তাঁরা। তবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি বলেই খবর।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে কর্নেল সিং পার্ক এলাকা দিয়ে ফিরছিলেন বছর পঁয়তাল্লিশের রেলকর্মী আনন্দ কুমার ভাট। চিত্তরঞ্জনের (Chittaranjan) ৫৩ নং রোডের বাসিন্দা ছিলেন আনন্দ। তিনি রেল কারখানার মেন শপের চাকরি করতেন। ছিলেন প্রাইভেট টিউটরও। এছাড়া তাঁর গাড়ির ব্যবসা ছিল বলে জানা গিয়েছে। আনন্দ ছোট ছোট চিটফান্ড বা ক্লাব খেলাতেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। সেই বিষয়ে ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে কারও সঙ্গে বিবাদ থেকে এই খুন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সকালে গাড়ির মধ্যেই তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। চিত্তরঞ্জনের কর্নেল সিং পার্কের কাছে আনন্দ কুমার ভাটের গুলিবিদ্ধ দেহ পড়েছিল গাড়ির মধ্যই। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, রাতে গাড়ি চালিয়ে ফেরার সময়েই দুষ্কৃতীরা তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। আনন্দের শরীর ৬,৭ টি গুলি পাওয়া গিয়েছে। সাদা রঙের যে দামি গাড়িতে তাঁর দেহটি পাওয়া যায়, সেই গাড়ির মালিক আনন্দ নিজেই। জানা গিয়েছে, ওই গাড়িটি রেলের অফিসে ভাড়া খাটে।
ব্যবসার লেনদেন সংক্রান্ত গন্ডগোলের জেরেই এই খুন বলে প্রাথমিক অনুমান। আনন্দ ভাটের মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিত্তরঞ্জন থানায়। ঝাড়খণ্ড লাগোয়া রেল শহর চিত্তরঞ্জন সর্বদা আরপিএফের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে থাকে। রাজ্যজুড়ে এমনিও আংশিক লকডাউন, তারউপর কড়া নিরাপত্তার কারণে বাইরের লোকের আনাগোনা একেবারেই নেই এখানে। তারপরেও কীভাবে এই খুনের ঘটনা ঘটল, সে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ, আরপিএফ (RPF) যৌথ তদন্তে নেমে এর দ্রুত কিনারা করতে চাইছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.