Advertisement
Advertisement

Breaking News

Basirhat

ভরসন্ধেয় বসিরহাটে শুটআউট! তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি, উদ্ধার তাজা বোমা

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আলতাফ মালি নামে এক তৃণমূল কর্মীকে ঘিরে ধরে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা, তাঁর কোমরের উপরে গুলি লাগে। বসিরহাট জেলা হাসপাতাল থেকে তাঁকে কলকাতায় রেফার করা হয়েছে।

Shootout at Basirhat: Miscreants shoot at TMC worker, bombs found from the spot
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 14, 2024 10:49 pm
  • Updated:June 14, 2024 11:11 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক অশান্তিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বসিরহাট। বসিরহাট থানার পিফা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁশতলায় এক তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে চলল গুলি। জানা যাচ্ছে, শুক্রবার সন্ধে নাগাদ আলতাফ মালি নামে এক তৃণমূল কর্মীকে রাস্তার মাঝে ঘিরে ধরে কয়েকজন দুষ্কৃতী। প্রথমে মারধর করে এবং পরে এক রাউন্ড গুলি চালায়। এর পর এলাকাবাসীর চিৎকার চেঁচামেচিতে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে তাজা বোমা।  আহত অবস্থায় ওই তৃণমূল কর্মীকে বসিরহাট (Basirhat) জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতায় রেফার করা হয়েছে বলে খবর। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। 

স্থানীয় সূত্রের খবর, আলতাফ এলাকায় তৃণমূল (TMC) কর্মী বলে পরিচিত। শুক্রবার ভরসন্ধেবেলা তাঁর উপর হামলা চালায় জনা কয়েক দুষ্কৃতী। তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি (Shootout) করা হলে কোমরের ডান পাশের উপরে গুলি লাগে। স্থানীয় বাসিন্দারা আলতাফকে উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কী কারণে তাঁর উপর এই গুলিচালনা, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বসিরহাট থানার পুলিশ। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনাস্থল অর্থাৎ বাঁশতলা থেকে তাজা বোমা (Bomb) উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, দুষ্কৃতীরাই বোমা নিয়ে এসেছিল। এলাকায় বোমাবাজি করারও ছক ছিল তাদের।

Advertisement

[আরও পড়ুন: হিজাব বিতর্কের পর বাংলায় তিলক-তরজা! স্কুলের সামনে বিক্ষোভ ‘সনাতনী’দের]

এই ঘটনার পর দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা। ন্য়াজাট রোডে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। ঘটনাস্থলে বসিরহাট থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা শংকর অধিকারী বলেন, ”পিফায় তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। লোকসভা ভোটে এখান থেকে বড় সংখ্যায় লিড নিয়েছি আমরা। আর তার পর থেকে গদ্দার শুভেন্দুর নির্দেশে দিকে দিকে সন্ত্রাস চলছে। এটা অবশ্যই বিজেপির মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীদের কাজ। কিন্তু আমাদের কর্মী আলতাফকে এভাবে আটকানো যাবে না।” স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, এতে বিরোধী রাজনৈতিক দলের কোনও যোগ নেই। আলতাফবাবুর কোনও ব্যবসায়িক শত্রুতা ছিল কি না, বা অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা এর পিছনে, তা খতিয়ে দেখুক পুলিশ। তৃণমূল এখানে জেতার পরই এই ঘটনা। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছে বিজেপি। 

[আরও পড়ুন: ‘চুপ করে বসে থাকব না’, ভোট পরবর্তী অশান্তি নিয়ে রাজ্যের রিপোর্ট না পেয়ে ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement