প্রতীকী ছবি।
বাবুল হক, মালদহ: দুলাল খুনের রেশ এখনও কাটেনি। এই পরিস্থিতিতে মালদহে ফের শুটআউট। গুলিতে মৃত্যু হাসা শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মীর। গুলিবিদ্ধ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বকুল শেখ ও এসারউদ্দিন শেখ। রক্তাক্ত অবস্থায় আহত দুজনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। অভিযোগ, এর নেপথ্যে তৃণমূল কর্মী জাকির শেখ। কিন্তু কেন হামলা? গোষ্ঠীকোন্দল নাকি অন্য কিছু? উঠছে প্রশ্ন। অভিযুক্তদের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে কালিয়াচকের নওদা-যদুপুর অঞ্চলের সালেপুর এলাকায় ড্রেন ও রাস্তার উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন অঞ্চল সভাপতি বকুল শেখ। সেখানে দলের অন্যান্য নেতা-কর্মীরাও ছিলেন। আচমকা চার-পাঁচজন সেখানে হাজির হন। বকুল শেখকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে তারা। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তৃণমূল নেতা। গুলিবিদ্ধ হন তৃণমূল কর্মী হাসা শেখও। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। জখম হন প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান এসারউদ্দিন শেখও। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। হাসা শেখের দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। বাকি দুজনকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে মালদহ মেডিক্যালে।
কিন্তু কে এর নেপথ্যে? কেন এই হামলা? প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ঘটনার পিছনে তৃণমূল কর্মী জাকির শেখ। তাঁর নির্দেশেই নাকি এদিন হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। কিন্তু কেন? তৃণমূলেরই একাংশের দাবি, গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড। কিন্তু ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর দাবি, গোষ্ঠীকোন্দল নয়, এই হামলার কারণ অন্যকিছু। বাংলাদেশিরা হামলা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, ১২ দিন আগে খুন হন মালদহের তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল সরকার। তার নেপথ্যে উঠে আসে তোলাবাজির ভাগ বাটোয়ারা সংক্রান্ত বিবাদ। এবার নিশানায় অঞ্চল সভাপতি, এক্ষেত্রেও কি কারণ বখরা নাকি অন্য কিছু? জানার চেষ্টায় পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.