সৌরভ মাজি, বর্ধমান: ভরদুপুরে বর্ধমানের (Bardhaman) বড়বাজারে শুটআউট। এক যুবককে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে বাইক নিয়ে চম্পট দিল ৩ দুষ্কৃতী। ইতিমধ্যেই রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন ডিএসপি সদর সৌভিক পাত্র ও পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, বর্ধমান থানা থেকে মাত্র ৩০০ মিটার দূরত্বে বড়বাজার এলাকায় মনপ্পুরম গোল্ড লোনের একটি অফিস রয়েছে। শুক্রবার দুপুরে একটি ব্যাগ নিয়ে ওই অফিস থেকে বের হচ্ছিলেন পেশায় টোটোচালক হীরাময় মণ্ডল। সেই সময় কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর দিকে ছুটে আসে। কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যাগটি। বিষয়টি নজরে পড়তেই এক প্রৌঢ় হীরাময়বাবুকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। অভিযোগ, সেই সময়ই এক দুষ্কৃতী ওই যুবককে লক্ষ্য করে পরপর তিনটি গুলি চালায়। ২ গুলি লাগে ওই যুবকের শরীরে। সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন হীরাময়বাবু। সেই সুযোগেই তাঁর হাতে থাকা ব্যাগটি কেড়ে নিয়ে বাইকে চেপে উধাও হয়ে যায় তিন অভিযুক্ত।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় বর্ধমান থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। তাঁরাই যুবককে উদ্ধার করে পাঠায় হাসপাতালে। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান ডিএসপি সদর সৌভিক পাত্র ও পুলিশ সুপার। আক্রান্ত ব্যক্তি জানিয়েছেন, এদিন এক বন্ধুর জন্য মনপ্পুরমের অফিসে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে প্রবেশের সময় অভিযুক্তদের সঙ্গে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র তাঁর নজরে পড়েছিল। তা নিয়ে সামান্য কথাকাটিও হয়।এরপর তিনি নিজের কাজে অফিসের ভিতর চলে যান। সেখান থেকে বের হতেই আক্রমণ করা হয় তাঁকে। হীরাময়বাবুর অনুমান, এদিন ওই সংস্থায় লুঠের উদ্দেশেই হয়তো সেখানে জড়ো হয়েছিল ওই ৩ জন। কিন্তু হীরাময়বাবু তাদের অস্ত্র দেখে ফেলার কারণেই তাঁকে আক্রমণ করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তরা ওই সংস্থায় ডাকাতির উদ্দেশ্যেই এদিন ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে বেশ কয়েকজন চড়াও হয়েছিল স্বর্ণঋণ প্রদানকারী সংস্থা কর্মীদের উপর। টাকা, গয়না নিয়ে পালিয়েছিল সেখান থেকে। কিন্তু ঘটনাচক্রে বাইরে অপেক্ষারত দুষ্কৃতীদের অস্ত্র দেখে ফেলাতেই হীরাময়বাবুকে খুনের চেষ্টা। কিন্তু ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত? তা সন্ধান পেতে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.