শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: ফুঁসে ওঠা তিস্তা ধীরে ধীরে শান্ত হতেই নয়া বিপদ। তিস্তার চরে কাঠ কুড়োতে গিয়ে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ক্রান্তির চাপাডাঙায় সেনাবাহিনীর শেল ফেটে মৃত্যু হল এক শিশুর। আশঙ্কাজনক আরও এক শিশু-সহ মোট ৬ জন। গুরুতর আহতরা সকলেই সাধারণ গ্রামবাসী। বৃহস্পতিবার বিকেলে নদী থেকে শেলটি উদ্ধার করে আনেন স্থানীয়রা। সিকিম (Sikkim) থেকে জলের স্রোতে সেলটি ভেসে এসেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। স্থানীয় কয়েকজন উদ্ধার করেন। এর পর তা নাড়াচাড়া করতে গিয়েই এই দুর্ঘটনা। শেলটি ফেটে (Blast) গুরুতর আহত হন কয়েকজন। এদের মধ্যে এক শিশুর মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। বাকিদের চিকিৎসা চলছে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ৩ বছরের সাইনুর আলমের। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রমজান আলি, গোমের আলি, লাকু আলম, রুকসানা পারভিন, লতিফা খাতুন। এঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের অন্যত্র রেফার করা হয়েছে রাতে।
উল্লেখ্য, সিকিমে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর জলস্তর ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্থিতি উত্তরবঙ্গে। বৃহস্পতিবার দুর্যোগ কাটিয়ে নদীর জলস্তর স্বাভাবিক হতেই জলপাইগুড়ির তিস্তার চর থেকে উদ্ধার হয়েছে একের পর এক মৃতদেহ। দিনভর উদ্ধারকাজের পর সন্ধেবেলা ময়নাগুড়ি থানা এলাকার নানা জায়গা থেকে মোট ১৮টি দেহ উদ্ধার হল। যার মধ্যে ৪ টি দেহ সেনা জওয়ানের। মনে করা হচ্ছে, বুধবার সিকিমে সেনা ছাউনি ভেসে যে ২৩ জন শ্রমিক নিখোঁজ হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ৪ জনের দেহ উদ্ধার হল। এদিকে, একইভাবে দুর্যোগ কমতে এদিন তিস্তার চরে কাঠ কড়োতে গিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। আচমকা শেল খুঁজে পান। তা কী বিপজ্জনক বস্তু, বুঝতে না পেরে হাত দিয়ে নাড়াচাড়া করতেই তা ফেটে যায়। মৃত্যু হয় ৩ বছরের এক শিশুর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.