সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান
অর্ণব আইচ: সন্দেশখালি কাণ্ডে প্রকাশ্যে ফের বিস্ফোরক তথ্য। জেলা পুলিশ সুপার এবং থানায় পাঠানো চিঠিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ঘটনার দিন ফোন করা হয় শেখ শাহজাহানকে। তৃণমূল নেতার একটি মোবাইল নম্বর ব্যস্ত ছিল। আরেকটিতে ফোন ধরেন। ইডি শুনেই কেটে দেন। আর তার পরই শাহজাহানের বাড়ির অদূরেই হামলার মুখে ইডি আধিকারিকরা। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ফোন কেটেই হামলার নির্দেশ দেন তৃণমূল নেতা? সেই তথ্যের খোঁজে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
গত ৫ জানুয়ারি সকালে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে যান ইডি আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, সেই সময় বাড়িতেই ছিলেন শাহজাহান। তাঁর দুটি নম্বরে ফোন করেন তদন্তকারীরা। একটি ব্যস্ত ছিল। অন্য নম্বরে আসা ফোন ধরেন শাহজাহান। ইডির তরফে তল্লাশির কথা বলা হয়। একথা শোনার পরমুহূর্তেই ফোন কেটে দেন তৃণমূল নেতা। তার পরই মারধর করা হয় ইডি আধিকারিকদের। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বাড়িতে বসেই ইডি আধিকারিকদের উপর হামলায় ইন্ধন জুগিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা।
এদিকে, এই ঘটনার পর থেকেই ‘ফেরার’ তৃণমূল নেতা। খাঁ খাঁ করছে ‘সাম্রাজ্য’। সপ্তাহখানেক কেটে গেলেও পুলিশ তাঁর খোঁজ পায়নি। কোথায় রয়েছেন শাহজাহান, তা নিয়ে চলছে শাসক-বিরোধী জোর তরজা। বিজেপির দাবি, পুলিশের যোগসাজশেই গা ঢাকা দিয়েছেন তৃণমূল নেতা। রাজভবনের বিবৃতিতেও পুলিশ এবং নেতাদের ইন্ধনের কথা উল্লেখ করা হয়। যদিও সে দাবি মানতে নারাজ ঘাসফুল শিবির। পরিবর্তে আক্রান্ত ইডির বিরুদ্ধে উঠছে পালটা নানা অভিযোগ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.