নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: বীণাপাণি দেবীর সই নকল করার অভিযোগের মামলায় হাই কোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে গাইঘাটা থানায় গেলেন শান্তনু ঠাকুর। মঙ্গলবার রাতে গাইঘাটা থানায় গিয়ে তদন্তকারী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এ বিষয়ে শান্তনু ঠাকুর বলেছেন, হাই কোর্টের নির্দেশ মেনেই আমি থানায় এসেছি।
সাংবাদিক বৈঠক করে কিছুদিন আগে শান্তনু ঠাকুর জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের আনা নাগরিকত্ব বিলকে রাজ্যসভায় সমর্থন করার জন্য মতুয়া মহাসংঘের বড়মা বীনাপাণি দেবী মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে চিঠি পাঠিয়েছেন। মহাসংঘের প্যাডে লেখা সেই চিঠির কপি সাংবাদিকদের হাতেও তুলে দেন শান্তনু ঠাকুর। চিঠিতে লেখা ছিল , “কেন্দ্রীয় সরকারের নাগরিকত্ব বিল যেন তৃণমূলের পক্ষ থেকে সমর্থন করা হয়। যদি তৃণমূল বিলটি সমর্থন না করে তাহলে আগামী লোকসভা নির্বাচনে মতুয়ারা তৃণমূলের পাশ থেকে সরে দাঁড়াবে।’’ সেই চিঠির নিচেই সই ছিল বীণাপাণি দেবীর। চিঠির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই বীণাপাণি দেবীর সই নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মমতাবালা ঠাকুর। তিনি বলেন “একশো বছর হয়ে গিয়েছে মায়ের। তিনি এখন আর সই করতে পারেন না। বিশেষ কোনও কারণে প্রয়োজন পড়লে টিপ সই নেওয়া হয়।’’ এরপরই মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে থাকা সই নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। তদন্তের দাবি জানান মমতাবালা ঠাকুর। তিনিই শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে সই জালের অভিযোগ এনে গাইঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মামলার জল গড়ায় আদালতে।
এ বিষয়ে শান্তনু ঠাকুরের আইনজীবী লিটন মৈত্র জানান, শান্তনু ঠাকুরের জামিনের আবেদন জানিয়ে ১৩ তারিখ হাই কোর্টের পিটিশন জমা করেছিলেন তারা। বিচারক জানিয়েছেন, এক সপ্তাহ বাদে শুনানি শুরু হবে এবং দু-সপ্তাহ গ্রেপ্তার করা যাবে না শান্তনু ঠাকুরকে। তবে সপ্তাহে একদিন করে অভিযুক্তকে হাজিরা দিতে হবে গাইঘাটা থানায়। জানা গিয়েছে, সেকারণেই হাই কোর্টের রায়কে মান্যতা দিয়েই রাতে থানায় গিয়েছিলেন বলে জানান শান্তনু ঠাকুর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.