Advertisement
Advertisement

Breaking News

মমতাবালা ঠাকুর, শান্তনু ঠাকুর

বড়মার সই নকল মামলায় জামিন শান্তনুর, সাময়িক স্বস্তির পর মমতাবালাকে কটাক্ষ

ফের প্রকাশ্যে পারিবারিক কোন্দল।

Shantanu Thakur got bail over false signature case
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:April 8, 2019 9:47 pm
  • Updated:April 8, 2019 9:47 pm  

 নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: বেশ কিছুদিন আগেই বড়মার একটি চিঠি নিয়ে দানা বেঁধেছিল বিতর্ক। চিঠির বিষয়বস্তু ছিল নাগরিকত্ব বিল।  মমতাবালা ঠাকুর দাবি করেন, ওই চিঠিতে থাকা বড়মা বীণাপাণি দেবীর সইটি নকল ছিল। এ বিষয়ে আদালতের দ্বারস্থও হন তিনি। সোমবার সেই মামলায় জামিন পেলেন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর

আরও পড়ুন: মেয়েকে দেখতে যাওয়ার পথে যুবককে পিটিয়ে খুন, অভিযুক্ত শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা

সাংবাদিক বৈঠক করে কিছুদিন আগে শান্তনু ঠাকুর জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের আনা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে রাজ্যসভায় সমর্থন করার জন্য মতুয়া মহাসংঘের বড়মা বীনাপাণি দেবী মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে চিঠি পাঠিয়েছেন। মতুয়া মহাসংঘের প্যাডে লেখা সেই চিঠির কপি সাংবাদিকদের হাতেও তুলে দিয়েছিলেন শান্তনু ঠাকুর। চিঠিতে লেখা ছিল , “কেন্দ্রীয় সরকারের নাগরিকত্ব বিল যেন তৃণমূলের পক্ষ থেকে সমর্থন করা হয়। যদি তৃণমূল বিলটি সমর্থন না করে তাহলে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মতুয়ারা তৃণমূলের পাশ  থেকে সরে দাঁড়াবে।’’ সেই চিঠির নিচেই সই ছিল বীণাপাণি দেবীর।

Advertisement

চিঠির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই বীণাপাণি দেবীর সই নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মমতাবালা ঠাকুর। তিনি বলেন “একশো বছর হয়ে গিয়েছে মায়ের। তিনি এখন আর সই করতে পারেন না। বিশেষ কোনও কারণে প্রয়োজন পড়লে টিপ সই নেওয়া হয়।’’ এরপরই মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে থাকা সই নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। পাশাপাশি, মমতাবালা ঠাকুর বলেন, নাগরিকত্ব বিলকে সমর্থন করলে বিপদ হতে পারে মতুয়া ভাই-বোনের। ফলে এরকম কথা বলতেই পারেন না বড়মা। এরপরই ঘটনার তদন্তের দাবি জানান মমতাবালা ঠাকুর।  শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে সই জালের অভিযোগ এনে গাইঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মামলার জল গড়ায় আদালতে।  

আরও পড়ুন: গণতন্ত্রের উৎসব, যোগ দিতে খুশিমনে ঘরে ফিরছেন ভিনরাজ্যে কর্মরত শ্রমিকরা

সেই মামলার শুনানিতে সোমবার বনগাঁ আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট বিনয় সুব্বা শান্তনু ঠাকুরের জামিন মঞ্জুর করেন৷ জামিন পাওয়ার পর শান্তনু ঠাকুর প্রশ্ন তোলেন, সেই সময় শতায়ু বড়মা যদি সই না করতে পারেন, তবে মেলার অনুমতিপত্রের জন্য আবেদনে বড়মার সই করল কে? এই প্রশ্ন নিয়ে এবার জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বড়মার মৃত্যু, শেষকৃত্য, ঠাকুরবাড়ির মেলার পর ফের সই বিতর্কে প্রকাশ্যে ঐতিহ্যশালী ঠাকুরবাড়ির কোন্দল।      

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement