নিজস্ব ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার ব্রিগেড মঞ্চে যখন বিজেপিকে বিসর্জন দিয়ে তৃণমূলকে জেতানোর দাবিতে সুর চড়াচ্ছেন শাসকদলের নেতারা, তখন মুখে কুলুপ এঁটে বসিরহাট আদালতে ‘সন্দেশখালির বাঘ’। শেখ শাহজাহানকে রবিবার বসিরহাট আদালতে তোলা হলে তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ করে দিলেন বিচারপতি। আরও ৪ দিনের জন্য তাঁকে সিবিআই হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হল। তবে আদালত চত্বরে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে শাহজাহান নীরব থাকলেও বাবাকে নিয়ে মুখ খুললেন শাহজাহান কন্যা।
শেখ শাহজাহান মামলার শুনানির জন্য় রবিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন সন্দেশখালির ‘ত্রাস’ শেখ শাহজাহানের কন্যা সাবিনা। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে তিনি অভিযোগ করেন, “আমার বাবাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমার বাবা নির্দোষ। তিনি কখনও কোনও অন্যায় করেননি। যেসব অভিযোগ করা হচ্ছে তার সঙ্গে আমার বাবা যুক্ত নন। সময় আসলে সবকিছু প্রমাণ হয়ে যাবে।” তবে শাহজাহান কন্যা বাবাকে নির্দোষ দাবি করলেও অন্য কথা বলছেন সন্দেশখালির সাধারন মানুষ। জমি দখল থেকে নারী নির্যাতন, একের পর এক অভিযোগ শাহজাহান ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। এছাড়াও শাহজাহান কন্যাকে সংবাদমাধ্যমের তরফে এদিন প্রশ্ন করা হয়, ৫ জানুয়ারি ইডির উপর হামলার ঘটনার সময়ে তাঁর বাবা বাড়িতে ছিলেন কিনা? এ বিষয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি সাবিনা। লাগাতার প্রশ্নের মুখে কার্যত বিরক্ত হয়ে চলে যান তিনি।
[আরও পড়ুন: লুকিয়ে কোন গোপন ‘সন্দেশ’? শাহজাহানের মোবাইলের খোঁজে হন্যে সিবিআই]
গত ৫ জানুয়ারি, সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার আকুঞ্জপাড়ায় শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। বার বার ইডি শাহজাহানের দুটি ফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করে। বেশ কিছুক্ষণ পর একটি নম্বরে ফোন ধরেন তৎকালীন তৃণমূল নেতা। ইডির কথা শুনে ফোন কেটে দেন। তার কিছু সময়ের মধ্যেই ওই এলাকায় জড়ো হয়ে যায় বিশাল সংখ্যক মানুষের ভিড়। ইডি আধিকারিকদের বেধড়ক মারধর করা হয়।
এই ঘটনার পর ‘সাম্রাজ্য’ ছাড়া হন শাহজাহান। ৫৫ দিন পর মিনাখাঁ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আইনি টানাপোড়েনের পর গত ৬ মার্চ শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে পায় সিবিআই। ইডির উপর হামলা সংক্রান্ত নথিপত্র ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করেছে রাজ্য পুলিশ। সেই মামলাতেই রবিবার শাহজাহানকে আদালতে তোলা হলে আগামী ১৪ মার্চ পর্যন্ত তাঁর সিবিআই হেফাজত বাড়ালো আদালত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.