Advertisement
Advertisement
Shahjahan Sheikh

১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে সন্দেশখালির ‘বাঘ’, শাহজাহানের বিরুদ্ধে কী কী ধারায় মামলা?

অবশেষে গ্রেপ্তার হয়েছে শাহজাহান শেখ। ইডির আশঙ্কা ছিল, রাজ্য পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করলে লঘু ধারায় মামলা দেবে। দেখা যাচ্ছে, সন্দেশখালির 'বেতাজ বাদশা'র বিরুদ্ধে ১১টি ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

Shahjahan Sheikh arrested, here are the sections imposed | Sangbad Pratidin

সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান

Published by: Paramita Paul
  • Posted:February 29, 2024 10:46 am
  • Updated:February 29, 2024 1:49 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে গ্রেপ্তার শাহজাহান শেখ। কিন্তু তাঁকে ‘খাঁচাবন্দি’ রাখা যাবে তো? উঠছে প্রশ্ন। ইডির আশঙ্কা ছিল, রাজ্য পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করলে লঘু ধারায় মামলা দেবে। দেখা যাচ্ছে, সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’র বিরুদ্ধে ১১টি ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তবে তার মধ্যে জামিন অযোগ্য ধারা রয়েছে। কিন্তু ধর্ষণ বা গণধর্ষণের ধারা নেই। রয়েছে মানবপাচার ও দেহব্যবসার মতো গুরুতর অভিযোগ। আর কোন কোন  ধারায় মামলা রুজু হয়েছে?

শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে ন্যাজাট থানা ১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩৪১/১৮৬/৩৫৩/৩২৩/৪২৭/৩৭০/৫০৬/৩৪- সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলার রুজু করে বসিরহাট মহকুমা আদালতে পাঠায় মিনাখাঁ থানার পুলিশ। ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজত চেয়েছিল পুলিশ তবে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়েছে আদালত। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ১৪]

ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৭ ধারা অনুযায়ী, অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ প্রমাণিত হলে জরিমানা বা দুবছরের জেল হেফাজত কিংবা জেল ও জরিমানা দুই-ই হতে পারে। 

ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৮ ধারা অনুযায়ী, ধারালো কোনও অস্ত্র নিজের কাছে রাখা বা কোনও ধারালো জিনিস যা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে, যা দিয়ে কাউকে হত্যা করা যায়। দোষ প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ তিন বছরের ও জরিমানা হতে পারে। 

ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারা, খুনের চেষ্টার অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ সাত বছরের জেল হতে পারে। 

ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৯ ধারা অনুযায়ী, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অবৈধ জমায়েতের অংশ হওয়া।  

ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১ ধারা অনুযায়ী, অবৈধভাবে বাধা দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে একমাসের জেল এবং ৫০০ টাকা  জরিমানা হতে পারে। 

ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৬ ধারা অনুযায়ী, সরকারি আধিকারিকের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে সর্বোচ্চ তিন মাসের জেল ও সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা জরিমানা হতে পারে।

ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৩ ধারা অনুযায়ী যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে কোনও ব্যক্তিকে তিনদিন বা তার বেশি সময়ের জন্য আটকে রাখে, তার জেলের মেয়াদ দুই বছর পর্যন্ত হতে পারে, বা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।

ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩ ধারা অনুযায়ী, স্বেচ্ছায় কাউকে আঘাত করলে এক বছর পর্যন্ত জেল বা এক হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।

ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২৭ ধারা অনুযায়ী, পঞ্চাশ টাকা বা তার বেশি পরিমাণের ক্ষতি করলে, দুই বছর পর্যন্ত হতে পারে বা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।

ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭০ ধারা অনুযায়ী, নাবালক-নাবালিকাদের পাচার এবং জোর করে দেহব্যবসায় লিপ্ত করার অভিযোগ। দোষ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ৭ বছরের জেল হবে। 

ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৬ ধারা অনুযায়ী, ভয় দেখানোর  অভিযোগ প্রমাণিত হলে ২ বছরের জেল ও জরিমানা হতে পারে। 

ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪ ধারা অনুযায়ী, অপরাধমূলক কাজের জন্য দোষী সাব্যস্ত হতে পারেন শেখ শাহজাহান। 

[আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ায় দুর্ঘটনা, ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত ২]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement