রাজা দাস, বালুরঘাট: যোগী আদিত্যনাথের সভা ঘিরে তৈরি হল জটিলতা। রবিবার উত্তর দিনাজপুরের বালুরঘাটে সভা করার কথা ছিল উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু তাঁর হেলিকপ্টার কোথায় নামবে, তা এখনও জানে না জেলার বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের অভিযোগ, যেখানে হেলিকপ্টার নামার কথা ছিল, সেখানে নামার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। এই নিয়ে জেলাশাসকের বাংলো ঘেরাও করেছে তারা। সমস্যা এড়াতে বালুরঘাটের সভা বাতিল করে দেওয়া হয়।
রবিবার বেলা ১১টা নাগাদ বালুরঘাট স্টেশন সংলগ্ন মাঠে সভা করার কথা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের। শিলিগুড়ির বাগডোগরা এয়ারপোর্ট থেকে হেলিকপ্টারে বালুরঘাটে তিনি আসবেন বলে স্থির হয়। সেই কারণে বালুরঘাট এয়ারপোর্ট এবং রেল ময়দানের সভাস্থলে দু’টি হেলিপ্যাড করাও হয়। কিন্তু তাঁর হেলিকপ্টার নামার জন্য হেলিপ্যাডের অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, বিজেপিকে নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছে শাসকদল। তাই যোগী আদিত্যনাথের সভা যাতে বানচাল হয়, তার সবরকম চেষ্টা করছে তারা। ঠিক করণেই প্রশাসন হেলিপ্যাডের অনুমতি দেয়নি বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। ফলে যোগীর উপস্থিতিও অনিশ্চয়তার মুখে। কারণ হেলিপ্যাডের অনুমতি না পেলে তিনি কীভাবে সভা পর্যন্ত পৌঁছবেন, তা প্রশ্নের মুখে। কিন্তু জেলার বিজেপি নেতৃত্ব এই সমস্যার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে দিয়েছে। ইস্যুটি নিয়ে ইতিমধ্যেই জেলাশাসকের বাংলো অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে তারা।
এদিকে সভা বাতিল হওয়ায় লখনউ থেকে মোবাইলে ভাষণ দেন যোগী। বালুরঘাটের সভায় জমায়েত সমর্থকদের সেই ভাষণই শোনানো হয়। এর পাশাপাশি যোগীর রায়গঞ্জ সভাও বাতিল হয়েছে বলে খবর। রায়গঞ্জেও যোগীর চপার অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়নি। সেখানে বিএসএফ হেলিপ্যাডে যোগীর চপার নামার কথা ছিল। হেলিপ্যাডের বাইরের আইনশৃঙ্খলা দেখার দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের। তাদের অনুমতি দারকার হয়। সেই অনুমতি না মেলায় সেখানেও হেলিপ্যাড ব্যবহার সম্ভব হয়নি।
[ উন্নয়ন শুরুর আগে গঙ্গারামপুর স্টেশন পরিদর্শন রেলকর্তার ]
গতমাসেই অমিত শাহের সভা ঘিরে এমনই জটিলতা দেখা দিয়েছিল। সেবার মালদহে ছিল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সভা। কিন্তু তাঁর হেলিকপ্টার নামার অনুমতি দেয়নি শাসকদল। মালদহের পরিত্যক্ত বিমানবন্দরেই অমিত শাহর চপার নামার কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু বিমানবন্দরে রানওয়ে তৈরির কাজ চলছে। তাই হেলিপ্যাড নামা ‘নিরাপদ’ নয় – জেলাশাসকের এই যুক্তি দেখিয়ে প্রশাসন অনুমতি দেয়নি। এরপর নারায়ণপুরে বিএসএফ পূর্বাঞ্চলীয় কার্যালয়ের মাঠেও চপার নামানোর আবেদন করা হয়েছিল। সেখানে তিন তিনটি হেলিপ্যাড ইতিমধ্যেই আছে। তাই সেখানে কপ্টার নামলে সমস্যার কিছু ছিল না। কিন্তু বিএসএফের তরফেও মেলেনি অনুমতি। শেষমেশ নারায়ণপুরের গোল্ডেন পার্ক হোটেলের জমিতে তৈরি হয় হেলিপ্যাড। যা সভাস্থল থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে। এবার একই ঘটনা ঘটল যোগীর ক্ষেত্রেও।
[ ‘চেন কিলার’-এর দৌরাত্ম্য কালনায়, গলায় লোহার শিকল পেঁচিয়ে চলছে লুটপাট ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.