দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: দীর্ঘ ৩৪ বছর পর দেশের শিক্ষানীতিতে আমূল বদল। খোলনলচে পালটে যাচ্ছে প্রাক প্রাথমিক থেকে পিএইচডি পর্যন্ত। নতুন শিক্ষানীতিকে অনেকে সমর্থন করলেও, বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এসএফআই এর বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছে। বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের এই আন্দোলনকে সমর্থন করেছে যুব সংগঠনও। বৃহস্পতিবার সিঙ্গুরে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন এসএফআই (SFI) সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার সিঙ্গুরে পাঁচ মিনিটের জন্য প্রতীকী রাস্তা অবরোধ করা হয়। হাতের প্ল্যাকার্ডে কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে স্লোগান লিখে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এসএফআইয়ের হুগলি জেলার সম্পাদক অমৃতেন্দু দাসের কথায়, ”কেন্দ্রের এই নতুন শিক্ষানীতির ফলে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার
খরচ অনেক বেড়ে যাবে।” রীতিমতো ক্ষোভের সঙ্গে তাঁদের অভিযোগ, এই পদ্ধতিতে সংস্কৃত ভাষাকে জোর করে চাপিয়ে দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থায় বিজেপির ‘হিন্দি, হিন্দু, হিন্দুস্তান’ নীতিকে কার্যকর করতে চাইছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিক্রি করে দিতে চাইছে বিজেপি। এর ফলে সাধারণ গরিব ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার সুযোগ হারাবে। অথচ নয়া শিক্ষানীতির মূল কথাই – সকলের জন্য শিক্ষার সুযোগ।
এসএফআই যদিও কেন্দ্রের সেই ঘোষিত নীতিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ। বরং তাঁদের ভাবনা উলটোটাই। বাম ছাত্র সংগঠনের দাবি, দু’বেলা অন্ন জোটে না, এরকম ছাত্রছাত্রীদের এই নতুন শিক্ষাব্যবস্থায় অনলাইনের পড়াশোনা করা সম্ভব নয়। তাই সকলের জন্য শিক্ষার কথা বলে তা বাস্তবায়িত করা সহজ নয়। তাই কেন্দ্রের এই নতুন শিক্ষানীতি প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন করছেন বলে জানান। তা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এসএফআই সদস্যরা।
বাম ছাত্র সংগঠনের এই বিরোধিতা নিয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা মধুসূদন দাস বলেন, ”বামেদের বিরোধিতা করা স্বাভাবিক। কারণ, ওরা ব্যাকডেটেড। ওরা কম্পিউটার নিয়েও বিরোধিতা করেছিল। কেরানি তৈরির কারখানা করার জন্য এই শিক্ষা ব্যবস্থা নয়, এটা মানুষ গড়ার জন্য শিক্ষাব্যবস্থা। আগামী দিনই বলে দেবে কারা ঠিক, আর কারা বেঠিক।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.