ফাইল ছবি।
পলাশ পাত্র, তেহট্ট: মোবাইলে গেমের লোভ দেখিয়ে শিশুকন্যাকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে প্রতিবেশী গৃহশিক্ষককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ৷ মঙ্গলবার দুপুরে ধৃত গৃহশিক্ষককে কৃষ্ণনগর পকসো কোর্টে তোলা হয়৷ পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত গৃহশিক্ষকের নাম বিশ্বজিৎ সরকার৷ নাকাশিপাড়া থানার বিল্বগ্রাম পূর্বপাড়ার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে৷
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিবেশী যুবক বিশ্বজিৎ সোমবার দুপুরে পাঁচ বছরের এই শিশুকন্যার বাড়িতে যায়। তার সামনে মোবাইল গেম খেলা দেখাতে থাকে। এরপর অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলে পড়া ছাত্রীটিকে মোবাইলে গেমের লোভ দেখিয়ে পাশেই নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় বিশ্বজিৎ। অনেকটা সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর শিশুকন্যাটি বাড়ি না ফিরলে তার বিশ্বজিতদের বাড়ি যায়। সেখানে মেয়েকে কাঁদতে দেখে। বাড়ি ফিরে রাতে থানায় যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করে। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে রাতে অভিযুক্ত গৃহশিক্ষককে গ্রেপ্তার করে৷ এদিন ধৃতকে কৃষ্ণনগর পকসো কোর্টে তোলা হয়৷
এদিনের এই ঘটনার জানাজানি হতেই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে৷ অভিযুক্ত গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ শিক্ষকতার মতো একটি পেশায় যুক্ত থেকে কীভাবে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি এমন ঘটনা ঘটানোর সাহস পেল তা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে কৌতুহল তৈরি হয়েছে৷
এর আগে একাধিকবার স্কুলের মধ্যে যৌন নির্যাতনের হতে হয়েছে বহু পড়ুয়াকে৷ খোদ শহর কলকাতার স্কুলে আবারও যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয় এক শিশুকে৷ বেহালার ওই প্লে-স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ঠাকুরপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ছাত্রের বাবা৷ পকসো আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ ঘটনার রিপোর্ট তলব শিশু সুরক্ষা কমিশনের৷
জানা গিয়েছে, স্কুলে একটি অনুষ্ঠান শেষের পর স্কুল থেকে ছেলেকে বাড়ি নিয়ে আসতে যান তার মা৷ শিশুর মায়ের দাবি, কাঁদতে কাঁদতেই স্কুল থেকে বেরোয় সে৷ বারবার প্রশ্ন করলেও, কান্নার কারণ কাউকে জানায় না ওই শিশুটি৷ এরপর স্নান করাতে গিয়ে শিশুর মধ্যে অস্বাভাবিকত্ব লক্ষ্য করেন তিনি৷ গোপনাঙ্গে ব্যথার কথাও মাকে জানায় সে৷ তড়িঘড়ি চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় বছর দুয়েকের শিশুকে৷ ওই চিকিৎসকের পরামর্শে ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁদের ছেলেক৷ শারীরিক পরীক্ষায় যৌন হেনস্তার স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.