ছবি: প্রতীকী
শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: ভিড়ে ঠাসা রথের মেলায় বিপত্তি। গ্যাস বেলুন ফোলানোর সময় সিলিন্ডার ফেটে জখম অন্তত ৭ জন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রত্যেককে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় প্রায় ১০ ফুট দূরে ছিটকে পড়েন গ্যাস বেলুন বিক্রেতা। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের (Daspur) ঘটনায় সুর কাটল তিয়রবেড়িয়া মেলার।
করোনার জেরে দু’বছর ধরে তিয়রবেড়িয়া মেলার আয়োজন হয়নি। তবে চলতি বছর ৮০ মন পিতলের রথযাত্রা উপলক্ষে মেলার আয়োজন করা হয়। শনিবার উলটোরথের দিন স্বাভাবিকভাবেই মেলায় অনেকেই ভিড় জমান। আর পাঁচটা মেলার মতো সেখানেও বিক্রি হচ্ছিল গ্যাস বেলুন। বিক্রেতাকে ঘিরে ভিড় জমায় শিশু ও তাদের অভিভাবকরা। গ্যাস বেলুন ফোলানোর সময় আচমকাই সিলিন্ডার ফেটে যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় চতুর্দিক ধুলোয় ঢাকা পড়ে যায়। বিকট শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মেলায় উপস্থিত প্রায় সকলে। হুড়োহুড়ি শুরু হয়। গ্যাস বেলুন বিক্রেতা প্রায় ১০ ফুট দূরে ছিটকে পড়েন। এছাড়া এই ঘটনায় শিশু ও মহিলা-সহ অন্তত ৭ জন জখম হন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রত্যেকের চিকিৎসা চলছে।
উলটোরথের মেলায় উপস্থিত এক মহিলা বলেন, “স্বামীর সঙ্গে মেলায় গিয়েছিলাম। দেখেছিলাম গ্যাস বেলুন বিক্রি হচ্ছে। তারপর হঠাৎ একটা বিকট শব্দ পাই। প্রথমে পাত্তা দিইনি। তারপর দেখি চতুর্দিক ধুলোয় ভরে গিয়েছে। কিছুটা এগিয়ে দেখি যন্ত্রণায় ছটফট করছেন গ্যাস বেলুন বিক্রেতা-সহ সাতজন। গ্যাস বেলুন বিক্রেতা কমপক্ষে ১০ ফুট দূরে ছিটকেও পড়েন। ধীরে ধীরে মেলা থেকে বেড়িয়ে পড়ি।”
মেলা কমিটির সদস্য সুমন সামন্ত জানান, “মেলায় আগেও গ্যাস বেলুন বিক্রেতা বসেছেন। তবে বিস্ফোরণ হয়নি কখনও। কীভাবে বিস্ফোরণ হল, তা এখনও আমরা বুঝতে পারছিনা। খতিয়ে দেখা হবে।” এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এলাকার মেলায় রক্তারক্তি কাণ্ডের পর থেকে থমথমে প্রায় গোটা এলাকা। সকলেই সুস্থ হয়ে যাক, চাইছেন স্থানীয়রা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.