সংগ্রাম সিংহরায় ও শান্তনু কর: একই রুটে পেট্রল পাম্পে সিরিয়াল ডাকাতির ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়িতে। অ্যাম্বুল্যান্সে চেপে এসে প্রথমে ফাঁসিদেওয়া, তারপর ফুলবাড়ি, এরপর জলপাইগুড়ির বন্ধুনগর এবং শেষে ময়নাগুড়ির একটি পাম্পে ডাকাতি করে পালিয়ে যায় দলটি। একসঙ্গে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট এবং জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ তদন্তে নেমেছে। এভাবে একই রাতে পরপর পেট্রল পাম্পে ডাকাতির ঘটনা নজিরবিহীন। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা একই দল চার জায়গায় লুটপাট চালিয়েছে। অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে যাওয়ায় সকলেই সহানুভূতির খাতিরে বাইরে বেরিয়ে বিপদে পড়েছে। পুলিশ অ্যাম্বুল্যান্সটির খোঁজ শুরু করেছে। শিলিগুড়ি পুলিশের ডিসি গৌরব লাল জানিয়েছেন, ডাকাতির তদন্ত শুরু হয়েছে। যে জায়গাগুলিতে পাম্পে ডাকাতি হয়েছে বাকিগুলি শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের বাইরে। ওই এলাকার থানার সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে।”
[ভিসা ছাড়া সীমান্ত পেরিয়ে অনুুপ্রবেশ, শিলিগুড়িতে পাকড়াও মার্কিন যুবক]
শুক্রবার মাঝরাতে ফুলবাড়ি বাজারের কাছেই জিয়াগঞ্জ এলাকায় একটি পেট্রল পাম্পে হানা দেয় ডাকাত দলটি। কর্মীদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে লুটপাট চালিয়ে চলে যায় ওই দলটি। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত আড়াইটা নাগাদ একটি অ্যাম্বুল্যান্স এসে দাঁড়ায় জিয়াগঞ্জের পেট্রল পাম্পে। প্রত্যেকের মুখ মাংকি ক্যাপে ঢাকা ছিল। বাংলাতেই কথাবার্তা বলায় খুব একটা ভয় পাননি পাম্প কর্মী। ট্যাঙ্ক খালি মনে করে পাম্পের নিরাপত্তাকর্মী আনোয়ার হোসেন জানতে চান কতটা তেল প্রয়োজন। তখনই অ্যাম্বুল্যান্স থেকে চারজন বেরিয়ে বন্দুক তাক করে। পাম্পের অন্য কর্মীদের ডাকতে বাধ্য করা হয় তাকে। পাম্পের ম্যানেজার বিপ্লব ছেত্রীর কাছ থেকে টাকা-পয়সা, চাবি চায়। তাকে মারধরও করে। চাবি আনার নাম করে বিপ্লববাবু পালিয়ে যান। অবশ্য বাকিরা রেহাই পাননি। কর্মীদের কাছে যা টাকা পয়সা ছিল তা হাতিয়ে নেয় এবং পাম্পে আর টাকা নেই নিশ্চিত হয়ে জেনে তারা বন্দুক উঁচিয়ে ভয় দেখিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সে করেই জলপাইগুড়ির দিকে পালিয়ে যায়। শীতের কুয়াশার সুযোগ নিয়ে নির্বিঘ্নে পালাতে সক্ষম হয়। ফুলবাড়ির পেট্রল পাম্পের মালিক বিনম্র গোয়েঙ্কা জানান, কুড়ি বছর ধরে এই পেট্রল পাম্প চালাচ্ছেন তিনি। এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তারির দাবি জানিয়ে এনজেপি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.