চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: বন্ধ বাড়ি থেকে উদ্ধার হল রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের বড় বউদি ও ভাইঝির মৃতদেহ। মলয়বাবুর দাদা প্রয়াত অসীম ঘটকের স্ত্রী জয়শ্রী ঘটক (৬৫) ও কস্তুরী ঘটকের (৩৯) পচাগলা মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার হয় সোমবার বিকালে।
[পদত্যাগের সিদ্ধান্তে অনড় রাহুল, উত্তরসূরি খুঁজতে ফের বৈঠকে বসছে কংগ্রেস]
আসানসোল দক্ষিণ থানার হিন্দুস্তান পার্ক এলাকায় মা ও মেয়ে আলাদা থাকতেন। আদিবাড়ি চেলিডাঙায় তাঁরা থাকতেন না বলে জানা গিয়েছে। সোমবার দুপুর নাগাদ বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। এরপরই পুলিশকে খবর দেয় প্রতিবেশীরা। পুলিশ বাড়ির দরজা ভেঙে দেখে মেঝেতে জয়শ্রী ঘটক ও মেয়ে কস্তুরী ঘটকের দেহ পড়ে রয়েছে। মৃতদেহ দুটি পচাগলা ও কালো হয়ে গিয়েছে। পুলিশ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় আসানসোল জেলা হাসপাতালে। পুলিশের প্রাথমিকভাবে অনুমান, তিন-চারদিন আগে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে মহালয়ার দিন দামোদরে তর্পণ করতে গিয়ে তলিয়ে গিয়ে মারা গেছিলেন মলয়বাবুর দাদা অসীম ঘটক। অসীমবাবু মারা যাওয়ার পর জয়শ্রী ঘটক ও কস্তুরী ঘটক একাই থাকতেন ওই বাড়িতে। এমনকী সেই দুর্ঘটনার সময় স্বামীর মৃতদেহ বাড়িতে ঢোকাতে দেননি জয়শ্রী ঘটক। প্রতিবেশীদের সঙ্গে তাঁরা কথাবার্তা বলতেন না। সবসময় দরজা বন্ধ থাকতেন।
স্থানীয় মহম্মদ ইজাজ বলেন, “জিনিসপত্র বা সবজি দরকার লাগলে তাঁকে ফোন করে ডাকতেন বউদি। তারপর জানালা দিয়েই নিয়ে নিতেন। কারোর সঙ্গে তাঁরা কথাবার্তা বলতেন না। বাড়ির মধ্যেই আবদ্ধ রাখতেন নিজেদের।” তিনি আরও বলেন, “গত সোমবার সবজি দিয়ে এসেছিলাম। তারপর আর যোগাযোগ নেই।” ভাই অভিজিৎ ঘটক জানান, ভোটের জন্য ব্যস্ত থাকায় তিনি এর আগে কোনও খোঁজ নিতে পারেননি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।
[রোজা ভেঙে রক্তদান, যমে-মানুষে লড়াইয়ের ময়দানে সাবিত্রীর দেবদূত আশরাফ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.