Advertisement
Advertisement
Sheikh Shahjahan

বাংলাদেশে মাছ বিক্রির টাকা হাতাতেও সিন্ডিকেট শাহজাহানের! ইডির চার্জশিটে নয়া তথ্য

বাজারের থেকে কম দামে মাছ রপ্তানি করা হচ্ছে বলে নথিতে দেখানো হত, দাবি ইডির।

Sheikh Shahjahan ran syndicate for take money from Bangladesh fish market
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:June 7, 2024 11:51 am
  • Updated:June 7, 2024 3:41 pm

অর্ণব আইচ: দখল করা জমিতে জোর করে মাছ চাষ। সেই মাছ বিক্রি করে সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানের টাকা হাতানোর নতুন সিন্ডিকেটের হদিশ পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সম্প্রতি আদালতে পেশ করা চার্জশিটে এই তথ‌্য উল্লেখ করেছে ইডি। চার্জশিটে ইডির দাবি, বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ মাছ রপ্তানি করতেন শাহজাহান। ওই রপ্তানির একটি অংশ হাওলার মাধ‌্যমে চোরাপথে এসে পৌঁছত তাঁর কাছে।

ইডির সূত্র জানিয়েছে, বিঘের পর বিঘে ধানি জমি দখল করে মাছ ও চিংড়ি চাষ করতে বাধ‌্য করেন শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। ওই জমি তথা ভেড়িতে উৎপন্ন হওয়া যাবতীয় মাছ ও চিংড়ি দু’টি সংস্থার মাধ‌্যমে শাহজাহান কিনে নিতেন বলে অভিযোগ। এর মধ্যে একটি সংস্থা চালাতেন শাহজাহানের এক ভাই শেখ আলমগির। অন‌্য সংস্থাটি চালাত শাহজাহানের আরেক ভাই সিরাজউদ্দিন। ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন আলমগির। যদিও হোমিওপ‌্যাথিক চিকিৎসক হিসাবে পরিচিত সিরাজউদ্দিন এখনও পলাতক।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সপ্তাহান্তে পুড়বে দক্ষিণবঙ্গ, আবারও কলকাতায় ৪০ ডিগ্রি?]

ইডির (ED) মতে, মাছ ও চিংড়ি বিক্রেতা ওই সংস্থাগুলির নামে আসলে সিন্ডিকেটই চালাতেন শাহজাহান। শাহজাহানের মেয়ের নামে তৈরি একটি সংস্থার হদিশ প্রথমে পায় ইডি। ওই সংস্থাটিরই যাবতীয় হিসাব নিকাশ রাখতেন আলমগির। ক্রমে তদন্ত করে ইডি শাহজাহানের  একই ধরনের আরও একটি সংস্থার সন্ধান পায়। ওই সংস্থাটির যাবতীয় দেখভাল করতেন সিরাজউদ্দিন।

ইডির (ED) দাবি, ওই দু’টি সংস্থার মাধ‌্যমে মৎসজীবীদের কাছ থেকে যাবতীয় মাছ ও চিংড়ি কিনে নিতেন শাহজাহানের দুই ভাই। চাষীদের কাছ থেকে বাজারের দামের কখনও দ্বিগুণ, আবার কখনও বা আড়াই গুণ মূল্যে মাছ ও চিংড়ি কেনা হচ্ছে বলে দেখানো হত।

শাহজাহানের সংস্থা চাষীদের‌ দাম মেটানোর জন‌্য চেক দিতেন। মৎসচাষীরা ব‌্যাঙ্কে গিয়ে সেই চেক ভাঙিয়ে পুরো টাকা নগদে শাহজাহানের ভাইদের দিয়ে আসতেন। তার বদলে সামান‌্য কিছু টাকা ওই মৎস‌্যচাষীদের দিতেন শাহজাহান ও তাঁর অনুগামীরা। আবার কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার মাধ‌্যমে মাছ ও চিংড়ির একটি অংশ রপ্তানি করতেন শাহজাহান। বাজারের থেকে কম দামে রপ্তানি করা হচ্ছে বলে নথিতে দেখানো হত। বাকি টাকা হাওলার মাধ‌্যমে বাংলাদেশ থেকে কলকাতা ও ক্রমে সন্দেশখালিতে শাহজাহানের হাতে পৌঁছত। ওই হাওলাচক্রের সন্ধান চালাচ্ছে ইডি।

[আরও পড়ুন: দিকে দিকে ‘আক্রান্ত’ বিজেপি, পালটা ‘মারে’র হুঁশিয়ারি সুকান্তর]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement