শেখর চন্দ্র, আসানসোল: একই জেলে রয়েছেন গরুপাচার কাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) ও তাঁর ‘ছায়াসঙ্গী’ সায়গল হোসেন (Sehgal Hossain)। কিন্তু ভিন্ন সেলে। শারীরিক অসুস্থতার জন্য বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার ঠাঁই হয়েছে জেলের মেডিক্যাল ওয়ার্ডে। আর সাধারণ সেলে রয়েছেন সায়গল। জেল সূত্রে খবর, অনুব্রতর ওয়ার্ডে ঠাঁই নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন সায়গল।
আসানসোল জেলে রয়েছেন অনুব্রত। একাধিক শারীরিক অসুস্থতার জন্য তাঁকে জেলের মেডিক্যাল ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে ওই ওয়ার্ডে রয়েছেন আরও ৬ জন। সেখানে ঠাঁই নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে সায়গল, এমনই সূত্রের খবর। জেলা হাসপাতালে চেক আপের পর মেডিক্যাল ওয়ার্ডে রাখা হয় অনুব্রতকে। এর কয়েকদিনের মধ্যেই জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গলকে। জেল সূত্রে খবর, তাঁর পেটের গণ্ডগোল হয়েছে। খাবার হজমেও সমস্যা হচ্ছে বলে তিনি চিকিৎসকদের জানিয়েছেন। যা দেখে ওয়াকিবহাল মহল বলছে, যেনতেন প্রকারেণ ‘গুরু’র ওয়ার্ডে পৌঁছতে চাইছেন সায়গল। তবে চিকিৎসকরা এখনও তাঁকে মেডিক্যাল ওয়ার্ডে রাখার অনুমতি দেননি। বরং সাধারণ সেলেই ফেরত পাঠানো হয়েছে।
আসানসোল জেলের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, নিজের সেলে থেকেই দুবেলা ‘বসের’ খোঁজখবর রাখছেন প্রাক্তন দেহরক্ষী। ওষুধ, নেবুলাইজারের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন। শারীরিকভাবে অসুস্থ অনুব্রত। দিনে প্রায় ৩৫-৪০টি ওষুধ খেতে হয় তাঁকে। শ্বাসকষ্ট থাকায় নিতে হয় নেবুলাইজার। প্রয়োজনে অক্সিজেন মাস্কও ব্যবহার করতে হয় তাঁকে। জেলের বাইরে অনুব্রতর এই রোজনামচার খবর রাখতেন খোদ সায়গল। সময় সময় ওষুধ দেওয়া, নেবুলাইজারের ব্যবস্থা করা, সবটাই করতেন কেষ্টর দেহরক্ষী। জেলের অন্দরে হাতেকলমে তা করতে না পারলেও নাকি ওষুধ খাওয়ার কথা, নেবুলাইজার নেওয়ার কথা মনে করিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছেন সায়গল।
উল্লেখ্য, গরুপাচারের কাণ্ডে আগেই গ্রেপ্তার হয়েছিল কেষ্টর দেহরক্ষী সায়গল। জেলের অন্দরে তিন মাস কাটিয়ে ফেলেছেন তিনি। আগামী ১ সেপ্টেম্বর সায়গল হোসেনকে আদালতে পেশ করা হবে। অনুব্রতকে ওই মাসেরই ৭ তারিখ আদালতে তোলার কথা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.