রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: মেগা ইভেন্টের মেগা প্রস্তুতি। দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আঁটসাঁট নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রশাসনের। ইতিমধ্যেই নতুন একটি স্নানঘাট করা হয়েছে পুরনো জগন্নাথ মন্দির তথা নতুন মাসির বাড়ির কাছে। সেই ঘাটে বাড়তি নজরদারির পাশাপাশি পুণ্যার্থীদের কথা মাথায় রেখে ১৪টি স্নানঘাটেও কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকছে। ওল্ড এবং নিউ দিঘায় থাকা ১৪টি স্নানঘাটে পুণ্যার্থীদের ভিড়ের কথা মাথায় রেখেই এনডিআরএফ টিম প্রস্তুত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। ২৬ এপ্রিল থেকেই ১ কোম্পানি এনডিআরএফ দিঘায় পৌঁছে যাবে বলে জানা গিয়েছে।
৩০ এপ্রিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর ওই টিম দিঘা ছাড়বে। প্রতিটি ঘাটে তিনজন করে নুলিয়া, সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ার এবং পুলিশ মোতায়েন থাকবে বলে খবর। স্নানঘাটের অবস্থা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই বিপর্যয় ব্যবস্থাপন দপ্তরের প্রধান সচিব রাজেশ সিংহ দিঘা পরিদর্শন করেছেন। ওল্ড থেকে নিউ দিঘার বিভিন্ন ঘাট ঘুরে দেখেছেন। পাশাপাশি ৩০ তারিখে বিভিন্ন স্নানঘাটে কীরকম সুরক্ষা ব্যবস্থা থাকবে, তা নিয়ে মিটিং সেরেছেন। প্রায় প্রতিদিন বিভিন্ন দপ্তরের সচিবরা দিঘায় এসে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখছেন। সম্প্রতি বিদ্যুৎ দপ্তরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস দিঘায় এসে প্রস্তুতিপর্ব সরেজমিনে খতিয়ে দেখেছেন। রেকর্ড জনসমাগমে যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেই জন্য প্রত্যেকটি ঘাটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে। দিঘার সমুদ্রে সাতটি স্পিড বোটে নজরদারি চালানো হবে। প্রতিটি ঘাটে এনডিআরএফ টিমও বহাল থাকবে।
এদিকে, জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের আগে নীল-সাদা রঙে সাজিয়ে তোলা হয়েছে দিঘা শহরকে। একেবারে দিঘা ওয়েলকাম গেট থেকে উদয়পুর পর্যন্ত ডিভাইডার, গার্ডওয়াল, ইলেকট্রিক পোস্ট-সহ সর্বত্র নীল-সাদা রং করা হয়েছে। পুরনো জগন্নাথ মন্দিরকে মাসির বাড়ি হিসাবে তৈরি করা হয়েছে। সেখানকার ঘাটটিকে নতুন করে সাজানো হয়েছে। একইভাবে নতুন জগন্নাথ মন্দিরের সোজাসুজি সমুদ্র বরাবর মাইতি ঘাটকেও নতুনরূপে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। দু’টি ঘাট নীল-সাদা রঙে সেজে উঠেছে। ওল্ড দিঘার ২ নম্বর বিশ্ব বাংলা ঘাটেও নীল-সাদা রঙের প্রলেপ পড়েছে। মন্দির উদ্বোধনের দিন বিশিষ্টদের অনেকেই সমুদ্রে স্নান সেরে মন্দিরে পুজো দিতে যাবেন। তাই ঘাটে তাঁদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এছাড়াও, সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য ব্যাপক নজরদারি। থাকবে। থাকবে সাদা পোশাকের পুলিশও। মঙ্গলবারই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এনডিআরএফ চেয়ে রিক্যুইজিশন নবান্নে পাঠানো হয়েছে। ২৬ তারিখ ওই টিম দিঘায় পৌঁছে যাবে বলে জানা গিয়েছে। মন্দির উদ্বোধনের দিন দিঘা-নন্দকুমার ১১৬বি জাতীয় সড়কে যানবাহনের চাপ থাকবে। উপকূল এলাকার দায়িত্বে থাকা ডিএসপি ডিএন্ডটি আবুনূর হোসেন বলেন, “মন্দির উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে প্রচুর মানুষের ভিড় হবে। তাই বাড়তি পুলিশ মোতায়েন থাকবে। প্রতিটি স্নানঘাটে স্পিড বোটে যেমন নজরদারি চলবে, তেমনই দিঘাজুড়ে বাড়তি নজরদারি চালানো হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.