Advertisement
Advertisement

Breaking News

WB MInister

বিধায়কদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জের? নিরাপত্তা কমল রাজ্যের প্রতিমন্ত্রীর

নিরাপত্তা কমার বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা শালবনির বিধায়ক।

Security of WB Minister of state slashed from Z to X Category | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:August 31, 2022 2:40 pm
  • Updated:August 31, 2022 2:42 pm  

গৌতম ব্রহ্ম এবং সম্যক খান: বিধায়কদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের প্রতিমন্ত্রীকে আগেই শো-কজ করেছিল দল। এবার নিরাপত্তা কমানো হল শ্রীকান্ত মাহাতোর। নবান্ন সূত্রে খবর, এবার থেকে সর্বক্ষণের জন্য মাত্র একজন নিরাপত্তারক্ষী পাবেন তিনি। যদিও নিরাপত্তা কমার বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা শালবনির বিধায়ক।

রাজ্য সরকারের ডিরেক্টরেট অফ সিকিউরিটির তরফে এক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, এবার থেকে কোনও এসকর্ট কার পাবেন না মন্ত্রী। পাবেন না হাউজ গার্ডও। যদিও দেহরক্ষী সঙ্গেই রয়েছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। মেদিনীপুর সাংগাঠনিক জেলার কো-অর্ডিনেটর তথা বিধায়ক অজিত মাইতি জানান, শুনলাম রাজ্যের সমস্ত মন্ত্রীদেরই নিরাপত্তা কমানো হয়েছে। পূর্ণমন্ত্রীদের একটা এসকর্ট কার এবং একটি পাইলট কার থাকে। নয়া নির্দেশিকায় এসকর্ট কার তুলে নেওয়া হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রীরা শুধুমাত্র এসকর্ট কার পান। সেটা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো বিষয়টি নিয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন। কলকাতায় রয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “আমার দেহরক্ষী রয়েছে। আর আমি খোলামেলা ভাবেই যাতায়াত করি। তাই নিরাপত্তারক্ষী নাহলেও চলবে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: আলকায়দা যোগের অভিযোগ, অসমে বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল মাদ্রাসা]

প্রসঙ্গত, দলের কর্মীদের নিয়ে ঘরোয়া আড্ডায় বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন শ্রীকান্ত মাহাতো। ভাইরাল হওয়া অডিওতে শ্রীকান্তকে বলতে শোনা যায়, “খারাপ লোককে ভাল বলছে দল। মন্ত্রীদের লোকে চোর বলছে। চোরেদের কথাই শুনছে দল। তাহলে আর আমরা কী করব? ভাল লোকেদের কথা শুনছে না। খারাপ লোকেদের কথা শুনছে দলীয় নেতৃত্ব। দুর্বৃত্ত পরায়ণদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “সায়ন্তিকা-মিমি-নুসরত-সায়নীরা এখন দলের সম্পদ। এরা দলের সম্পদ হলে তো দল করা যাবে না। পথ দেখতে হবে।” বিধায়ক পুরো বিষয়টি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুব্রত বক্সিদের বুঝিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। তারপরেও সেই কথা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এরপর দলের তরফে তাঁকে শোকজ করা হয়েছিল। ক্ষমাও চেয়েছিলেন তিনি।

এই ঘটনার পর শ্রীকান্তর বাড়ির দলীয় কার্যালয়ের দরজায় নতুন পোস্টার পড়েছে বলে খবর। লেখা হয়েছে, মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ। যদিও এবিষয়েও কিছু জানেন না বলে দাবি মন্ত্রীর। বলছেন, “আমি কলকাতায়। হয়তো কর্মী-সমর্থকরা এসব করেছে।”

[আরও পড়ুন: বুলডোজারের ভয় দেখাতেই খুলল দরজা! বিতাড়িত স্ত্রীকে স্বামীর ঘরে ফেরাল পুলিশ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement