Advertisement
Advertisement
Sandeshkhali

সুকান্তর ধরনায় অশান্তির জের? সন্দেশখালিতে নতুন করে জারি ১৪৪ ধারা

সন্দেশখালি থেকে ফিরে সোজা রাজভবনে গেলেন সুকান্ত-সহ বিজেপি প্রতিনিধিরা।

Section 144 imposed new places in Sandeshkhali till February 22 after situation became worse with Sukanta Majumdar's visit | Sangbad Pratidin

ফাইল ছবি।

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:February 22, 2024 10:32 pm
  • Updated:February 22, 2024 10:58 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিনভর উত্তপ্ত সন্দেশখালির (Sandeshkhali) আরও ৫ জায়গায় নতুন করে জারি হল ১৪৪ ধারা (Section 144)। চারটি জায়গায় ২২ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ শুক্রবার পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি ছিল। বৃহস্পতিবার দিনভর অশান্তির জেরে আরও পাঁচ জায়গাকে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে এনে ফেলল পুলিশ প্রশাসন। জানা গিয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত সন্দেশখালির মোট ৯ জায়গায় জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। এদিকে, এদিন সন্দেশখালি থানার সামনে ধরনায় বসা বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে পুলিশ জোর করে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। সেখানে দাঁড়িয়েই পুলিশ প্রশাসনকে দুষেছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তার পর রাতে কলকাতা ফিরে তিনি প্রতিনিধিদলকে সঙ্গে নিয়ে সোজা চলে যান রাজভবনে, রাজ্যপালকে গোটা ঘটনা জানাতে।

রাজভবনে সুকান্ত মজুমদার-সহ বিজেপি প্রতিনিধি দল। নিজস্ব চিত্র।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে ধামাখালিতে সুকান্তকে আটকেছিল পুলিশ। বলা হয়, বেশ কিছু জায়গায় এখনও ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে, তাই তিনি গেলে সেখানে সমস্যা হতে পারে। পরে অবশ্য পুলিশ বিজেপি (BJP) রাজ্য সভাপতিকে একা সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দেয়। সন্দেশখালি থানার পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সেখানেই ধরনায় বসে পড়েন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। জানান, শাহজাহান গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত ধরনা চালিয়ে যাবেন। কিন্তু প্রায় ঘণ্টাখানেক পর তাঁকে থানার সামনে থেকে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশের এই ‘অতিসক্রিয়তা’ নিয়ে ফের বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এর পর সুকান্ত মজুমদারকে থানার সামনে থেকে তুলে দেওয়া হয়। লঞ্চে তুলে তাঁকে ধামাখালি পৌঁছে দেয় পুলিশ।

Advertisement

[আরও পড়ুন:চোপড়ায় মৃত শিশুদের পরিবারের পাশে রাজ্য, ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]

সুকান্তর অভিযোগ, পুলিশের বোটে অন্ধকার করে তাঁকে নিয়ে যাওয়ার সময়ে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ব্যক্তিগত বন্ডে সই করে ছাড়া পান। ধামাখালিতে দাঁড়িয়ে শেখ শাহজাহানের অজ্ঞাতবাসের নেপথ্যে ডিজি রাজীব কুমারের বুদ্ধিকে দায়ী করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। দাবি করেন, আইসি, এসপির ফোনের কল রেকর্ডস পরীক্ষা করলেই শাহজাহানের খোঁজ মিলবে। আর এসবের পরই কলকাতা ফিরে রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ সুকান্ত মজুমদার পৌঁছে যান রাজভবনে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের আরও কয়েকজন নেতা। বৃহস্পতিবার ঘটনাবহুল সন্দেশখালির কথা সবিস্তারে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে জানিয়েছেন সুকান্ত। রাজভবন থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।

এদিকে, শুক্রবার সকালেই অগ্নিমিত্রা পল, লকেট চট্টোপাধ্যায়-সহ বিজেপি মহিলা মোর্চার ৭ জনের প্রতিনিধি দলের যাওয়ার কথা সন্দেশখালি। কিন্তু নতুন করে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি হওয়ায় তাঁরা কতদূর যেতে পারেন, সেদিকে নজর থাকছেই। 

[আরও পড়ুন:সন্দেশখালিতে জাতীয় ST কমিশনের প্রতিনিধিরা, রাষ্ট্রপতিকে রিপোর্ট পেশ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement