সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ডহারবার: বাংলাদেশ উপকূলের কাছে বঙ্গোপসাগরে ভারতীয় ট্রলার ডুবির ঘটনায় সোমবার সকাল থেকে তল্লাশি অভিযানে নেমেছে উদ্ধারকারী দল৷ সূত্রের খবর, উদ্ধারকার্যে নেমেই নিখোঁজ সাতাশ মৎস্যজীবীর মধ্যে আরও দু’জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে৷ এখনও নিখোঁজ ২৫ জন মৎস্যজীবী। ভারতকে উদ্ধারকার্যে সহায়তা করছে বাংলাদেশও৷
[ আরও পড়ুন: পুজো শেষে নরবলির চেষ্টা! গ্রামবাসীদের তৎপরতায় রক্ষা পেলেন যুবতী ]
রবিবার ট্রলার ডুবির ঘটনার পরেই আবহাওয়া দপ্তর জানায় যে, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গভীর সমুদ্রে ইলিশ ধরতে গিয়েছিল ওই ট্রলারগুলি। ট্রলারে সওয়ার হয়েছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের অক্ষয়নগর ও কালিনগরের মৎস্যজীবীরা। বঙ্গোপসাগরের কেন্দুয়া দ্বীপের থেকে আরও বেশ কয়েক কিলোমিটার পূর্বে, ভারত-বাংলাদেশ জলসীমার কাছে মাছ ধরছিলেন তাঁরা। কিন্তু প্রবল সামুদ্রিক ঝড়ে গভীর সমুদ্রে উলটে যায় চারটি ট্রলার। এবং ওই চারটি ট্রলারে থাকা ৬১ জন মৎস্যজীবী মাঝ সমুদ্রে পড়ে যায়। আশপাশে থাকা অন্য কয়েকটি ট্রলার মৎস্যজীবীদের উদ্ধারে এগিয়ে আসে। এফবি বাবাজী ও এফবি জয় যোগীরাজ ট্রলারে থাকা মোট ৩০ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে অন্যান্য ট্রলারগুলি। নিখোঁজ হয়ে যায় এফ বি নয়ন ও এফ বি দশভূজা নামের আরও দু’টি ট্রলার। এফবি নয়নে থাকা ১৫ জন মৎস্যজীবী এবং এফবি দশভূজায় থাকা ১৬ জনে কোনও হদিশ মেলেনি।
[ আরও পড়ুন: বিজেপি সমর্থক হওয়ার ‘শাস্তি’? পুকুরে বিষ মেশানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে ]
এরপরই নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের খোঁজ শুরু হয়৷ এবং রবিবার রাতেই দশভূজা ট্রলারের নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের চারজনকে প্রথমে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। গভীর রাতে আরও দু’জন মৎস্যজীবীকে বাংলাদেশের হাঁড়িভাঙার চর থেকে উদ্ধার করে অন্য একটি ট্রলার। কাকদ্বীপ ফিশারমেন অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি সোমবার বলেন, এখনও পঁচিশজন মৎস্যজীবীর কোনও খোঁজ নেই। তাঁদের খোঁজে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী ও বাংলাদেশ উপকূলরক্ষী বাহিনী তল্লাশি চালাচ্ছে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে একশোরও বেশি ট্রলার এখনও কেঁদো দ্বীপের কাছে আটকে রয়েছে।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.