সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সারাক্ষণ ফেসবুক করায় বকাবকি করেছিল দাদা। এই তুচ্ছ কারণে আত্মঘাতী হল একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী। হাবড়ার মনসাবাড়ির নতুনগ্রামের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
[ শহরে ফের ভেঙে পড়ল বিপজ্জনক বাড়ি, মৃত এক কিশোরী ]
জানা যাচ্ছে, মৃতা ছাত্রীর নাম মাম্পি দাস। সারাক্ষণ ফেসবুকে মগ্ন থাকত সে। মোবাইল নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটির জেরে সামাজিকভাবে একেবারে বিচ্ছিন্ন ছিল। পাড়ার কারও সঙ্গে তো দূরের কথা, বাড়ির সদস্যদের সঙ্গেই তেমন মেলামেশা করত না। বাড়ির কাজ থেকে শুরু করে পড়াশোনা- কোনও কিছুতেই মন ছিল না তার। এ নিয়েই তার দাদা তাকে বকাবকি করে। মোবাইল, ফেসবুক ভুলে বাড়ির দিকে মন দিতে বলে। অনুমান, এই বকাবকির জেরেই আত্মঘাতী হয়েছে ওই ছাত্রী। বোনকে বকুনি দেওয়ার পর বিশেষ কারণে বাইরে গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। বাড়ি ফিরে ওই কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তাঁরা। নিজের ওড়নার ফাঁস গলায় লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে সে।
[ সিবিআই চাইলেও ‘ভয়েস স্যাম্পেল’ দেননি অধিকাংশ তৃণমূল নেতাই ]
তবে এই ঘটনার আগে থেকেই হোয়্যাটসঅ্যাপে নিজের প্রোফাইলে একটি ছবি পোস্ট করে মাম্পি। সেখানে লেখা ছিল ‘মারা গেছি’। কেন আগে থেকেই এ কথা লেখা ছিল, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। তবে কি শুধু বকুনি নয়, অন্য কোনও সমস্যার জেরে আত্মঘাতী হল ওই কিশোরী? ফেসবুকে প্রায় সারাক্ষণই এর ওর সঙ্গে চ্যাট করত কিশোরী। সেখানে কোনও ঝামেলার জেরে এই সিদ্ধান্ত কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে সাম্প্রতিক অতীতে তুচ্ছ কারণে আত্মঘাতী হওয়ার প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। এর আগে হেডফোন নিয়ে দাদার সঙ্গে বচসা হওয়ার কারণে এক বোন আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় মগ্নতা ক্রমশ তরুণ প্রজন্মকে সমাজবিচ্ছিন্ন করে তুলছে বলে বরাবরের অভিযোগ। ক্রমশ অসহিষ্ণু হয়ে পড়ছে কিশোর-কিশোরীরা। তাই চট করে হঠকারি সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকেও পিছপা হচ্ছে না। ক্রমশ এই প্রবণতা মহামারির আকার নিচ্ছে। হাবড়ার এ ঘটনা যেন তা চোখে আঙুল দিয়েই প্রমাণ করল।
[ চেতলার কাঠের দুর্গা প্রতিমা নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.