বাবুল হক, মালদহ: মালদহে (Malda) ফিরল পোলবার স্মৃতি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে স্কুলবাস। জখম অন্তত ২০-২৫ জন পড়ুয়া। প্রত্যেককে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার পরই পলাতক স্কুলবাস চালক। তার খোঁজে চলছে তল্লাশি।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের। তাতে ৭২ জন পড়ুয়া ছিল। শনিবার দুপুরে বাসটি ইংরেজবাজার শহর থেকে কিছুটা দূরে মালদহ-মানিকচক রাজ্য সড়কের লক্ষ্মীপুরে নিয়ন্ত্রণ হারায়। নয়ানজুলিতে পড়ে যায় বাসটি। ছাত্রছাত্রীরা বাসের ভিতরেই এদিক ওদিক ছিটকে পড়ে যায়। বাসে থাকা খুদে পড়ুয়ারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। কান্নাকাটি শুরু করে দেয় অনেকে।
স্থানীয়রা দৌড়ে আসেন। বাসের ভিতরে থাকা ছাত্রছাত্রীদের উদ্ধারে হাত লাগান তাঁরা। অল্পবিস্তর সকলেই জখম হয়। তাদের মধ্যে ২০-২৫ জনের চোট বেশ গুরুতর। পড়ুয়াদের মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বেশিরভাগ অভিভাবক ইতিমধ্যে হাসপাতালে পৌঁছেও গিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের দাবি, স্কুলবাসটির স্টিয়ারিং লক হয়ে গিয়েছিল। তার ফলে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে। এদিকে, এই ঘটনার পর থেকে পলাতক বাসচালক। তার খোঁজে শুরু হয়েছে খোঁজখবর। কীভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২০২০ সালে হুগলির পোলবায় (Polba) নয়ানজুলিতে পড়ে যায় পুলকার। ওই দুর্ঘটনায় ঋষভ এবং দিব্যাংশু নামে দুই পড়ুয়া গুরুতর জখম হয়। তাদের এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসারও বন্দোবস্ত করা হয়। টানা ৯ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েও সুস্থ হতে পারেনি ঋষভ। শেষমেশ মৃত্যু হয় খুদের। তবে দিব্যাংশু সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরে। ছোট্ট ঋষভের মৃত্যু মানতে পারেনি কেউ। মালদহের দুর্ঘটনায় আরও একবার যেন সেই ভয়ংকর স্মৃতিই ফেরাল। এত বড় দুর্ঘটনা থেকেও কেন শিক্ষা নিল না স্কুল কর্তৃপক্ষ, উঠছে সেই প্রশ্ন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.