বাবুল হক, মালদহঃ প্রশ্নফাঁস রুখতে কড়া পদক্ষেপ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের। পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ রুখতে আগেই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের কথা ঘোষণা করেছিল সংসদ। সেই মতোই পরীক্ষার আগের দিনই মালদহে পৌঁছে গেছে মেটাল ডিটেক্টর। এরফলে মোবাইল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করলেই ধরা পড়ে যাবেন পরীক্ষার্থীরা।
মাধ্যমিকে পরপর ছ’দিনে প্রশ্নফাঁসের ঘটনার পর উচ্চমাধ্যমিকের নিরাপত্তা জল্পনা শুরু হয়েছিল। তবে বিতর্ক এড়াতে প্রথম থেকে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস। তিনি জানিয়েছিলেন, পরীক্ষায় সমস্ত বিভ্রাট অর্থাৎ প্রশ্নফাঁসের মূলে পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইলের ব্যবহার। তাই পরীক্ষার্থীরা যাতে কোনওরকমভাবেই মোবাইল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে বিশেষ নজর রাখা হবে। সংসদের তরফে জানান হয়েছিল, মোবাইলে কারচুপি রুখতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করবে সংসদ। ব্যাবহার করা হবে হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টর। পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার আগে সমস্ত পরীক্ষার্থীদের এই ডিভাইসের মাধ্যমে দু’বার পরীক্ষা করা হবে। কারও কাছে মোবাইল থাকলে সহজেই তা ধরা পড়ে যাবে ওই স্ক্যানারে। এরফলে হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্ন ঘোরাফেরা আটকানো সম্ভব হবে বলেই দাবি সংসদের। পূর্বের ঘোষণা মতো পরীক্ষার আগেরদিনই মালদহে পৌঁছে গেল এই স্ক্যানার।
মঙ্গলবার থেকে শুরু এবছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। এবারের পরীক্ষায় মালদেহর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪০১৯৪ জন। মোট পরীক্ষাকেন্দ্র ১০৫টি। সূত্রের খবর, সোমবারই পরীক্ষাকেন্দ্র গুলির উদ্দশ্যে পাঠানো হয়েছে স্ক্যানার। যদিও, মালদহের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক তাপসকুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন, মাত্র ৪২ টি কেন্দ্রের জন্য সংসদের তরফে এই স্ক্যানার পাঠানো হয়েছে। তবে, নির্বাচিত কয়েকটি কেন্দ্রে স্ক্যানার ব্যাবহারের মাধ্যমে আদৌ প্রশ্নফাঁস আটকানো যাবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রশ্নপত্র খোলা নিয়েও একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে সংসদ। জানানো হয়েছে, পুলিশ কর্মীদের সামনেই খুলতে হবে প্রশ্নপত্র। আগে কেবলমাত্র প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের উপস্থিতিতে খোলা হত প্রশ্ন
। সংসদের এই সিদ্ধান্ত আদৌ কতটা কার্যকরী হল, তা বোঝা যাবে পরীক্ষা শুরুর পরই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.